বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
বিটঘর দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠ পেল পাঠদানের অনুমোদন

বিটঘর দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠ পেল পাঠদানের অনুমোদন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন বিটঘরের কৃতি সন্তান মোঃ মুন্তাসির মহিউদ্দিন অপু। কীর্তিমান মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের প্রয়ানের ছয় যুগ পর মহেশ চন্দ্রের জন্মভূমিতেই তঁার নামানুসারে বিদ্যাপীঠ তৈরি করা হয়। অপু’র এ উদ্যোগ সর্বমহলে খ্যাতি কুঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, বিটঘর দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য বিদ্যাপীঠ নামীয় কলেজটির অবকাঠামোসহ যাবতীয় নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পেয়েছে পাঠদানের অনুমোদনও। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির অপেক্ষায় আছে সদ্য নির্মিত এ বিদ্যাপিঠটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীর্তিমান এ পুরুষের নামে এ কলেজটি নির্মিত হওয়ায় স্থানীয়রা উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। স্থানীয় শিক্ষাথর্ীরাও খুব তাড়াতাড়িই এ কলেজটিকে আপন করে নিয়ে পরবতর্ী প্রজন্মের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্বপ্নের জাল বুনছেন। নৈসর্গিক ও মনোরম পরিবেশে নির্মিত কলেজটি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমতি পেয়ে পাঠদানের প্রক্রিয়া শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই ভর্তির কার্যক্রমসহ আনুসাঙ্গিক আরো কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়রা জানায়- দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য বিটঘর গ্রামের একজন কৃতি সন্তানই নন, একজন কিংবদন্তী। জীবদ্দশায় নিজের আয়ের বেশিরভাগ টাকা দান করে প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে- কুমিল্লায় ঈশ্বর পাঠশালা, দাতব্য চিকিৎসালয়, মায়ের নামে গড়ে তুলেছেন রামমালা গ্রন্থাগার, রামমালা ছাত্রাবাস, নিবেদিতা ছাত্রীনিবাসসহ অনেক প্রতিষ্ঠান আজও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে চলেছে ট্রাষ্টি বোর্ডের মাধ্যমে। শিক্ষার বিষয়ে মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের দর্শন ছিল- একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে মুক্তি দিতে পারে- করে তুলতে পারে আত্মনির্ভর।
বিটঘরের এই কিংবদন্তীর দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তঁার নামানুসারেই শিক্ষার আলো ছড়াতে বিদ্যাপীঠ গড়ে তুলেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মুন্তাসির মহিউদ্দিন অপু। চারদিকে গাছপালা বেষ্টিত কলেজটি এখন ওই গ্রামের আশার আলো হয়ে দঁাড়িয়েছে। এক কিংবদন্তীকে স্মরণ রাখতে আরেক সমাজ সেবকের এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয়দের হৃদয়ে ছাপ ফেলেছে।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা মুন্তাসির মহিউদ্দিন অপু বলেন- দানবীর মহেশ চন্দ্র ভট্টাচার্যের সৃষ্টির মাধ্যমেই তাঁকে উপলব্ধি করা যায়। তখনকার আমলে তিনিই একমাত্র মানুষ যিনি নিজের আয় করা টাকা দিয়ে শিক্ষা বিস্তারে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এতদঅঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া এই কিংবদন্তীকে আমরা মনে রাখলেও পরবতী প্রজন্ম খুব সহজেই ভুলে যাবে। তিনি বলেন- এই মনিষীকে ধরে রাখতে এবং তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তাঁর নামানুসারেই এ কলেজটির নামকরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এতে একজন মহান শিক্ষানুরাগীর প্রতি জাতির ঋণ সামান্য হলেও লাঘব হবে বলে তিনি জানান।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD