বাহাদুর আলম,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর ‘ক’। ২৭ হাজার ‘ক’ এর সন্নিবেশে রচিত হয়েছে ৩ টি বই। ব্যতিক্রমী এসব বইয়ের লেখক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগঁাও গ্রামের এস,এম নাজমুল কবির ইকবাল। বইয়ের এই অভিনব উদ্ভাবনে লেখককে প্রেরনা যুগাতে পাশে দাড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশাসন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে তাকে নগদ ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। এসময় তিনি বলেন, যে সময় যুব সমাজ মাদকে জড়িয়ে যাচ্ছে, স্বার্থ ছাড়া মানুষ কাজ করছে না, সে সময়ে নাজিমুল কবির নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন সাহিত্য সাধনায়। তিনি তার রচিত বইগুলো প্রচারের উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জবেদ রহিম বিজন,সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, প্রেসক্লাব কার্য নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম শাহজাদা,সদস্য কবি মনির হোসেন,সাংবাদিক আবদুন নূর, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, জালাল উদ্দিন রুমি, শফিকুল ইসলাম, শাহদাৎ হোসেন প্রমূখ। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফ আহমেদ রাসেল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত কুমার বৈদ্য।
উল্লেখ্য, জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগঁাও গ্রামের এস,এম নাজমুল কবির ইকবাল ২০১০ সালে কেষ্ট কবির কষ্টগুলো, ২০১৩ সালে কেষ্ট করি কনফারেন্স ও ২০১৬ সালে কেষ্ট করি নামে প্রায় ২৭ হাজার শব্দের ৩ টি বই রচনা করেন। যার প্রতিটি শব্দের আদ্যক্ষর ছিল ‘ক’ বর্ণ দিয়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই কবি সাহিত্যিক বিভিন্নভাবে নিগৃহিত হয়ে আসছিল। এ নিয়ে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জন্য জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের বক্তব্য আনতে গিয়ে চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ রিপোর্টার ও প্রেসক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজড়ে আনেন। এরপর তিনি এই সৃজনশীল লেখকের পাশে দাড়াতে সম্মত হন।
Leave a Reply