বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুলসুম সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতনে লাশ হয়ে ফিরলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কুলসুম সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতনে লাশ হয়ে ফিরলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।

সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতন, লাশ হয়ে ফিরলো ছোট্ট কুলসুম

পরিবারে সচ্ছলতা ফেরানোর এক বুক আশা নিয়ে কিশোরী বয়সে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নূরপুরের উম্মে কুলসুম। চাকুরি ও বেতনের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার হয়ে সে দেশের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

কিশোরী উম্মে কুলসুম ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। শনিবার দুপুরে নিজ গ্রামে পৌঁছায় তার লাশ, দাফন করা হয় সন্ধ্যার পর।

কুলসুমের বড় বোন উম্মে হাবিবা বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমার বোন সৌদি আরব গিয়েছিলো। সেখানকার মানুষের অমানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে বিদেশ-বিভূঁইয়ে মারা যায় সে। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে গিয়ে লাশ হতে হলো তাকে।

তিনি জানান, ৯ আগস্ট সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে মারা যান উম্মে কুলসুম। শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে তার লাশ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। শনিবার দুপুরে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। মাগরিবের নামাজের পর দাফন করা হয়।

কুলসুমের বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, ১৭ আগস্ট জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে মেয়ের মরদেহ ও আট মাসের বকেয়া বেতন পেতে একটি লিখিত আবেদন করেন তিনি। অভিযোগে তিনি জানান, স্থানীয় দালাল রাজ্জাক মিয়া ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১৭ মাস আগে কুলসুমকে গৃহকর্মীর কাজে সৌদি আরব পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সেখানে গৃহকর্মী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই কুলসুমের ওপর শারিরিক ও যৌন নির্যাতন শুরু করে মালিকপক্ষ। এক পর্যায়ে মেয়েকে ফিরে পেতে রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। চার মাস আগে কুলসুমের দুই হাঁটু ও কোমর ভেঙে দেয় সৌদি আরবের গৃহকর্তা ও তার ছেলে। কিছুদিন পর একটি চোখ নষ্ট করে সড়কে ফেলে দেয়। পরে সৌদি আরবের পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কিং ফয়সাল হাসপাতালে ভর্তি করে। ৯ আগস্ট হাসপাতালে মারা যান কুলসুম।

নাসিরনগর থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, দুই দেশের বিষয় হওয়ায় আমাদের পক্ষে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই। এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD