বিশেষ প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রোপচার করার সময় নবজাতকের পেট কাঁচির আঘাতে কেটে ফেলা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আঘাত গুরুতর নয়। ঘটনার পর ক্লিনিক সংশ্লিষ্টরা গা ঢাকা দেন। খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ক্লিনিকটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর এলাকার কাউতলীর দি আল ফালাহ্ মেডিক্যাল সেন্টারে রবিবার সকালে প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হন জেলার আখাউড়া উপজেলার বাউতলা গ্রামের মো. তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা আক্তার। সাড়ে ১৬ হাজার টাকা চুক্তিতে সেখানে অস্ত্রোপচার করেন মারুফা রহমান নামে এক চিকিৎসক। এ সময় কাঁচির আঘাতে নবজাতকের পেট কেটে যায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান।
তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, অস্ত্রোপচারের সময় নবজাতকের পেট কেটে ফেলা হলে রক্ত দেখা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, নাভি কাটতে গিয়ে কাঁচির আঘাত লাগে। ঘটনার পরপরই ক্লিনিক সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যান।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাফফাত আরা সাঈদ জানান, নবজাতকের পেটে যে ক্ষত দেখা গেছে সেটা গুরুতর নয়। অদক্ষতার কারণেই এমনটা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ক্লিনিকের ল্যাবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিকটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
Leave a Reply