বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি নির্বাচনে জিততে আশ্রিতকে খুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইউপি নির্বাচনে জিততে আশ্রিতকে খুন

আবুল খায়ের স্বপন।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের হাবলাউচ্চ গ্রামের রিকশাচালক স্বপন মিয়াকে খুন করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জেতার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে! সফিকুল ইসলাম হৃদয় নামে একজনের জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন স্বপন মিয়াকে আশ্রয় দেয়া ও বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত শেখ মো. মহসিন।

হত্যা মামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা এক আসামীর জবানবন্দি থেকে এ তথ্য জানা যায়। মামলাটির ২০ নম্বর আসামি সুলতান ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শিলাউর গ্রামের বাসিন্দা হাজি আবুল খায়ের এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি জবানবন্দির তথ্য মতে দোষিদেরকে গ্রেপ্তার করে দায়ের করার মামলার আসামিদেরকে অব্যাহতির দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুকের বাবা ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হন। সফিকুল ইসলাম হৃদয়ের জবানবন্দিতে সংবাদ সম্মেলনকারী আবুল খায়েরকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

তবে শেখ মো. মহসিন (মহসিন মিয়া) সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়াই করে জনগনের ম্যান্ডেট পাওয়া সত্বেও কারচুপির কারণে হেরে যাই। আগামী নির্বাচনে আমি যাতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী না হই সেজন্য আমাকে চাপে রাখতে, আমার সামাজিক মর্যাদা এবং ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে আমার প্রতিপক্ষ সফিকুল ইসলাম হৃদয়কে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করিয়েছেন। ইতিমধ্যেই সফিকুল ইসলাম হৃদয়ের মা জোরপূর্বক নেয়া জবানবন্দি বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত আবেদনটি আমলেও নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল খায়ের জানান, গত ২৬ মে রাতে হাবলাউচ্চ গ্রামের রিকশাচালক স্বপন মিয়া এলাকার বার আউলিয়া বিলে মাছ ধরতে গেলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাকে খুন করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকেয়া বেগম গত ৮ জুন ইউনিয়নের চার গ্রামের (বিরামপুর, ঈশাননগর, হাবলাউচ্চ ও শিলাউর) গ্রামের ২৭ জনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তাকেসহ সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিন, সাবেক মেম্বার জসিম উদ্দিন ভূইয়াসহ চার গ্রামের নিরীহ লোকদেরকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ মামলাটি তদন্ত করার জন্য সিআইডির কাছে হস্তান্তর করলে সিআইডি মামলার তদন্তকাজ শুরু করে। একপর্যায়ে সিআইডি বিরামপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম হৃদয় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। গত ২০ আগস্ট গ্রেপ্তারকৃত সফিকুল ইসলাম হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD