বিশেষ প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের খ্যাতিমান ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মহেশ ভট্টাচার্যের বসতভিটায় সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্প গড়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে এলাকাবাসী।
ইতিমধ্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এলাকার লোকজন। এরপরও সরকারের পক্ষে কোনো পদক্ষেপ না হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন। একই সঙ্গে ট্রাস্টিদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে মহেশ ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া বসতভিটাসহ ৭৪ শতক সম্পতি সরকার খাস খতিয়ানভুক্ত করে সেখানে মুজিববর্ষে গৃহ ও ভূমিহীনদের জন্য ৩২টি ঘর নির্মাণ করছে।
মহেশ ভট্টাচার্যের স্মৃতি রক্ষায় মঙ্গলবার বিকালে বিটঘর এলাকায় একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল কাইয়ুমের সভাপতিত্বে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা আহাম্মদ আলী খাঁ, শফিকুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সেহেদী জাফর দস্তগীর, মাখন মুন্সি প্রমুখ।
সমাবেশ বক্তারা মহেশ ভট্টাচার্যের রেখে যাওয়া বসতভিটাসহ কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রক্ষায় প্রথানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিটঘরের গৃহনির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফ আহমেদ রাসেল, নবীনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল ছিদ্দিক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকবাল হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফ আহমেদ রাসেল বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের মধ্যে ৩২টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে এখানে। পুরো জায়গাটিই এখন সরকারের খাস খতিয়ানভুক্ত। এই জমির কোনো মালিকানা না থাকায় সরকার এটিকে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
আশরাফ বলেন, “এটি সরকারের একটি উন্নয়নমূলক কাজ। ট্রাস্টিরা যথাযথ দেখভাল করলে হয়ত জমিগুলো সরকারের খাস খতিয়ানে স্থানান্তর হতো না।”
তিনি জানান, জেলা প্রশাসক একটি প্রশিক্ষণে আছেন। তিনি কর্মস্থলে যোগদানের পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
Leave a Reply