বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা মাদরাসা থেকে বহিষ্কার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা মাদরাসা থেকে বহিষ্কার

বিশেষ প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত মাদরাসা জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ওই শিক্ষককে বহিস্কারের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জামিয়া ইউনুছিয়ার মোহতামিম মুফতি মাওলানা মুরাবকুল্লাহ শুক্রবার মাদরাসাা প্যাডে দেওয়া এক বিবৃতিতে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানান। গত ১ ডিসেম্বর মাদরাসার সভায় ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার সিনিয়রদেরকে ব্ল্যাকমেইল করাসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে মোহতামিম এর দেওয়া বিবৃতিতে। পাশাপাশি ওই শিক্ষক যেন মাদরাসার নাম ব্যবহার করতে না পারেন সেদিকে সকলকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

হেফাজতের নেতারা বলছেন, ‘বিষয়টি সম্পূর্ণ মাদরাসার আভ্যন্তরীন ব্যাপার। এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। তবে জামিয়ার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে হেফাজতকে অবহিত করা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হবে।’

মাদরাসার মোহতামিম মুবারকুল্লাহ’র বিবৃতিতে জানানো হয়, আব্দুর রহিম ১২ নভেম্বর পরিকল্পিতভাবে মাদারাসা ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে বিক্ষোভ করান। জামিয়ার সিনিয়রদেকে তিনি তোয়াক্কা করেন না। নিজের সহযোগী আব্দুল কুদ্দুসকে নারী সাজিয়ে মাদরাসার মুরুব্বিদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেন। আব্দুল কুদ্দুছ বর্তমানে জেলহাজতে আছেন।

হেফাজত নেতা এনামুল হক বলেন, ‘মাদরাসার আভ্যন্তরীন কারণে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে হেফাজতের কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই। তবে মাদরাসার পক্ষ থেকে জানানো হলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।’

এ বিষয়ে আব্দুর রহমান কাসেমীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকবার তার মোবাইল ফোনে কলা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া যায় নি। এখন পর্যন্ত তাঁর সমর্থকরাও এ নিয়ে কোনো ধরণের প্রতিবাদ করেনি।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD