বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
মাকে নিয়ে লেখা ডাইরি

মাকে নিয়ে লেখা ডাইরি

মোঃ জসিম উদ্দিন

মা শব্দটার মাঝে এক অসাধারণ মধুময়তা আছে।হৃদয়ের গহীন অরণ্য থেকে মা শব্দটা যেন কোন এক বুনো ফুলের সৌরভ ছড়ায় মনে প্রাণে আর অস্তিত্বে।মা শব্দটা মনে শক্তি জাগায়।তাই অবুঝ শিশু ভয় পেলে মা বলে ডাকে।চারদিকে শত্রু পরিবেষ্টিত কোন যোদ্ধাও তার শেষ মুহুর্তের লড়াইয়ের শক্তি খুঁজে পায় প্রায়সই তার মায়ের মুখটি স্মরণ করে।ফাঁসির আসামীও তার শেষসময়ে জীবনের নানা স্মৃতির সাথে স্মরণ করে মাকে আর হয়ত পাষান হৃদয়টিও হয়ত কেঁদে উঠে পুনর্জন্মে এক ভালো মানুষ হয়ে ওঠার প্রত্যাশায়।তাই মাকে নিয়ে কিছু লেখার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের । তা হলে লিখিনি।লিখিনি-কারণ নিজের উপর বিশ্বাস ছিলনা বলে,লিখিনি দুর্বল লেখনীর মাঝে যদি আমার মা ছোট হয়ে যায়।যদি মানুষের আমার লেখা ভালো না লাগে?এভাবে করে কত অর্ধসম্পাদিত লেখার মৃত্যু হয়েছে ..।কিনতু আজ ভাবলাম লিখবই-আমার মাকে ভালোবেসে,আমি লিখবই-কে কি বলল-কার ভালো লাগলো না লাগলো তাতে কি আসে যায়?আমার determination রীতিমত আগুন ধরাল আমার এক বন্ধু।আজ একসাথে বসে চা খাচ্ছিলাম।
ও বলল “কি রে এখন কি করছিস?”
আমি:আপাতত কিছু না।প্রেজেন্টেশন পর ভালো করে চাকুরি খুজবো,এই আর কি?
বন্ধু:টিউশনি কি করবিনা?
আমি:আপাতত না…অনেকতো করলাম ভাল লাগেনা।
বন্ধু:তাও তো বটে কম তো আর কামালিনা.।
আমি:আমি টিউশনির টাকা আম্মুকে দিয়ে দিতাম.।হাত তাই খালি..
বন্ধু:(মুচকি হেসে) এই এটিচুড সারা জীবন রাখতে পারবি?
আমি:না পারার কি আছে??
বন্ধু:পারা তো যায়না।একজন মানুষ দেখা যে পেরেছে??বউ আসলে মার প্রতি ভালোবাসা ন্যাপথলিনের চেয়েও তাড়াতাড়ি উড়ে যাবে।
আমি:আমি সবার মত না।আমি সারা জীবন মার সাথেই থাকবো।
বন্ধু:তাই যেন হয়.।আচ্ছা চলি..।

আজ সারাটা দিন এই সংলাপটা সারাক্ষণ মাথায় ঘুরছে,

এই এটিচুড সারা জীবন রাখতে পারবি?

ভাবি না পারার কি কোন কারণ আছে ?আত্মবিশ্লেষণের অনলে নিজেকে পোড়াই।কাল আমি মা ভাতের সাথে আমার ভালো লাগেনা এমন একটা সবজি দেয়াতে খুব রাগ করেছি।এখনি যদি আমার এ অবস্থা হয় ভবিষ্যতে কি হবে।নিজেকে তাই বদলে দিলাম–মা তুমি যা বলবে তাই?তোমার উপর এতটুকু রাগও আর কখনও করবেনা।তোমার সাথে রইব সারা জীবন।
কিন্তু এই তো আর ৭-৮টা বছর -তারপর জীবনে নতুন কেউ আসবে।সে কিভাবে নিবে আমার মাকে?চার পাশের নানা ঘটনায় ভয়ে শরীর মন কেঁপে উঠে।তাই ঠিক করলাম একটা ডায়েরী লিখবো-মাকে নিয়ে ।সেই ডায়রীতে শুধু মা থাকবে-থাকবে আমার জীবনে প্রতি পদে পদে তার অবদানের কথা,ভালোবাসার কথা।লেখা থাকবে অশ্রুভেজা সেই কন্ঠের কথা যে আমায় ফোনে বলেছিল”তোর আব্বু বাড়ী থেকে আম আনছে।তুই তাড়াতাড়ি আয় তোকে ছাড়া কেমন করে খাই?”
লেখা থাকবে জৃরের সময় প্রলাপ বকার সময় যেই সুকোমল হাত দুটা মাথায় পানি ঢেলে দিত তার কথা…।জীবনে প্রতি দিন যত দিন বেঁচে থাকি সেই ডায়রীটা পড়ব..।যেন আমার হাতে কোন দিন আমার মায়ের অপমান না হয় যেন আমার চোখ আমার মায়ের কোন কষ্ট না দেখে।আমি যেন সারা জীবন আমার এখনের আমির মতই থাকি…।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD