বিশেষ প্রতিনিধি
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে প্রতিপক্ষের ‘সাজানো মামলায়’ আসামি হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মো. হোসেন মিয়া।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের কাছে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্যই অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে প্রতারণার মামলায় জড়ানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর হোসেন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক ছয়টি মামলা করেন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের বাসিন্দা আক্রাম হোসেন লিটন, মোছাম্মৎ হোসনা, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মনির হোসেন, জয়নাল মিয়া ও শামীম মিয়া। ওই মামলায় হোসেন মিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের মে মাসে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার নাম করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
তবে একইদিনে ছয়টি মামলা দায়েরের ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং ‘সাজানো মামলা’ বলে দাবি করেছেন হোসেন মিয়া। মূলত আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে গঠিত শালগাঁও-কালীসিমা ঐক্যপরিষদে যোগ না দেয়ার কারণেই ‘সাজানো মামলায়’ জড়ানো হয় বলেও দাবি তাঁর। এছাড়াও ঐক্যপরিষদে বিএনপি নেতাদের যোগ দেয়ার কারণেও তিনি পরিষদকে এড়িয়ে যান।
শালগাঁও-কালীসিমা গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামে বিভিন্ন রাজনৈতিক গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব গ্রুপের অনুসারীরা প্রতিপক্ষকে ঘায়েলে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। হোসেন মিয়াও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হোসেন মিয়া বলেন, বিএনপি নেতাদের নিয়ে গঠিত ঐক্যপরিষদের যোগ দেইনি বলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়েছে। সারাজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনোই অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি।
Leave a Reply