আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল
বীজতলা তৈরীর সুযোগ নেই এমন কৃষকদের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্থানে বসেছে ধানের চারার বাজার। দূর-দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা আসছেন এসব চারা সংগ্রহ করতে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে এখানকার চারা। এসব বাজার থেকে বিভিন্ন স্থানের কৃষকরা বি-আর বাইশ, বি-আর ২৯, খাসা, নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন জাতের চারা সংগ্রহ করছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে চলতি মওসুমে জেলায় প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের চারা উৎপদিত হয়েছে।
রোপা আমন মওসুমকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুরে জমে উঠেছে ধানের চারার সবচেয়ে বড় বাজার। এছাড়াও জেলার কুট্টাপাড়া, আড়াইসিধা, লালপুর, চাঁনপুরসহ ১৯ টি স্থানে ছোট-বড় চারার বাজার রয়েছে। এসব বাজারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে কেনা বেচা। বি-আর বাইশ, বি-আর ২৯, খাসা, নাজিরশাইলসহ বিভিন্ন জাতের চারা সংগ্রহ করতে স্থানীয় কৃষক ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ভীড় করছে। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার চারা বিক্রি হয় এসব বাজারে। তবে চারা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, করোনার প্রভাব ও আকষ্মিক বন্যার কারণে বীজের দাম বেড়ে যাওয়ায় চারা বিক্রী করে তারা কাঙ্খিত মুনাফা পাচ্ছে না। ১ কানি জমির জন্য ৪/৮ আটি চারার প্রয়োজন হয়। জাত ভেদে প্রতি আটি চারা ৮০/১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রী হচ্ছে। এ বছর জেলায় ৫০ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। জেলার কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী উন্নত জাতের চারা উৎপাদনের জন্য ২ হাজার ৭শ ৮৩ শ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের বীজতলা তৈরী। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ২শ হেক্টর বেশী। এসব বীজতলা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি টাকা মূল্যের ধানের চারা উৎপাদিত হয়েছে। ভাদ্রের শুরু থেকে চালু হওয়া চারার বাজার চলবে কার্তিক মাস পর্যন্ত।
এদিকে চারা উৎপাদনে সহায়তা করতে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শের কথা জানালেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা
মোঃ রবিউল হক মজুমদার, উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া,পেঅফ চারার বাজার কৃষি ও কৃষকদের জন্য সুফল বয়ে আনবে এমনটাই প্রত্যাশা।
Leave a Reply