নাহার আহমেদ
কাশের বনের ধার ঘেষে যে
ছোট্ট বুনো পথ
থেমেছিল সেইখানেতে
প্রথম আমার ভালোবাসার রথ।
ঝিরিঝিরি সুরের দোলায়
হ্দ্য় ছিল মেতে
একমুঠো নীল ভালোবাসা পেতে ।
কাব্য ডানা মেলে দিলেম
ঐ যে আকাশটাতে
ছন্দগুলো সংগে নিয়ে
শিশির ভেজা মিষ্টি আকাশটাতে।
মেঘেদের ভেসে যাওয়া
দেখতে দেখতে কখন যেন
আনমনা হয়ে যাই ।
ও আকাশ ! তুমি দাওনা খানিকনীল ।
হৃদয়ের ক্যানভাসে আঁকবো
ভালোবাসার ছবি ।
লাজুক সিক্ত ঘাসের তুলিতে ।
মেঘবালিকার খোলা বুকটাতে
একরাশ নীলাভ যন্ত্রনা ।
শরৎ এসে কখন যেন
মধুর পরশ বুলিয়ে স্নিগ্ধতার অবগাহনে তাকে সিক্ত করে যায় ।
শরৎতোমার “অরুনআলোরঅন্জলী “
আমার সারা অঙ্গে এক নাবলা শিহরণ ,বিসুভিয়াসের লাভা
টগবগে উত্তাপ আমার রন্ধ্রেরন্ধ্রে
কড়া নেড়েছিল ।
অনুভূতির পাখায় ভর করে
উড়াল দিতে ইচ্ছে করলো
সেই আকাশটাতে ।
যেখানে শরতের লাজুক মেঘেদের
লুকোচুরি খেলা,নীলান্জনার মিষ্টি পরশ
দুহাত বাড়িয়ে আছে আমায় আলিঙ্গন করতে ,হৃদয়ে আমার
রঙ ছড়াতে ।
তাইতো গাইতে ইচ্ছে করলো
“হৃদয় আমার নাচেরে আজিকে
ময়ুরের ও মতো নাচেরে “
—————**______________
পূনরজন্ম
নাহার আহমেদ
বেশ কদিন ধরে খচ্ খচ্ করে
সুঁই এর মতো বিঁধছিল বুকেরভেতর একটা চাপা কষ্ট ।
একরাশ দীর্ঘশ্বাসের সমঝোতায়
যন্ত্রনার পুঁটুলিটা নামালাম ।
ওমা ! এ যে দেখছি গড়ের মাঠ।ফাঁকা ,পুরোনো ন্যাকরার মতো ।
জমে থাকা কিছু অভিমান ক্ষোভ
নিজেকে বেশ হালকা লাগছিল ।
নতুন করে শ্বাস নিলাম ।মনেহলো খোলস বদলালাম ।
গত কদিনের বিনিদ্র রাতের
একমাত্র সঙ্গীটাকে সযতনে
ড্রয়ারের অন্ধকারে কারাবন্দিকরলাম ।
বুকের ভেতর যন্রনার দাবদাহ নেই
বাইরে শ্রাবণের সুললিত নূপুরের নিক্কন ।
নতুন করে স্বপ্নের হাতছানিতে
বিভোর হলাম ।
মিথ্যে অভিমানের আড়ালে কঠিন সত্যিটাকে অনেক আগেই
দাহ করেছি ঘৃনার চিতায় ।
আলপনা আঁকা জীবনটা
কালির আঁচড়ে বৃষ্টিহীনখরার মাটি ।ফেটে চৌচির ।
নেতিয়ে পড়া সুখেরা অসাঢ় ।
আজযে আমার পূর্নজন্মের ক্ষণ ।
নতুন করে বিশ্বাসের সামিয়ানায়
রাঙিয়ে নেবো ক্যানভাস ।
জেগে উঠা নতুন চরে গড়বো
কল্পিত স্বপ্নের ভাস্কর্য
———-x————-
Leave a Reply