ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ
নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ২০১৮ সালে হত্যা করার অনুমোদন দেন সৌদি যু্বরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, যুক্তরাষ্ট্রের এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রকাশ করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাশোগিকে আটক কিংবা হত্যার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেন যুবরাজ। ইস্তানবুলের সৌদি দূতাবাসে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিককে খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছেন যুবরাজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বিন সালমানের যোগ রয়েছে তা প্রায় নিশ্চিত করেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স।
শুক্রবার রাতে ব্রিটেনের জাতীয় পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চার পৃষ্ঠার ‘জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে।
মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সৌদি যুবরাজ সালমানের বাবা বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অপ্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদন পড়ার পরই সৌদি বাদশাহকে ফোন করেন বাইডেন।
এদিকে ২০১৯ সালে জামাল খাশোগির হত্যার বর্ষপূর্তির সময়ে প্রথমবার এ ঘটনার প্রেক্ষিতে নীরবতা ভাঙেন বিন সালমান। হত্যার দায় পরোক্ষভাবে নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন সেই সময়। তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, তিনি যেহেতু যুবরাজ তাই এ খুনের দায় তারও।
মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রকাশিত রিপোর্টে এদিন বলা হয়, তাকে হত্যায় সৌদি আরবের কার্যত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান নির্দেশ দিয়েছেন। সিআইএ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়।
এদিকে এ রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার আগেই জো বাইডেন সৌদি রাজাকে ফোন করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব বন্ধু রাষ্ট্র। তবে এ ঘটনা তাদের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্ব তৈরি করেছিল। ২০১৮ সালে বেশ কিছুদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয়েছিল খাশোগির ক্ষতবিক্ষত দেহ।
তুর্কি পুলিশের ধারণা, ৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
Leave a Reply