বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
কসবায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

কসবায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

কসবা প্রতিনিধি।।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সোমবার সকালে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষ। বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

নিহত ব্যক্তির নাম জামাল মিয়া (৫৫)। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভোল্লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম মৃত নুরু মেস্তুরী। তিনি পেশায় করাতকলশ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামাল মিয়া ভোল্লাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবিরের অনুসারী ছিলেন। হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময়ে নানা ঘটনায় দুই পক্ষের করা ২০টি মামলা চলমান। সোমবার সকালে জামাল মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় নিজের করাতকলের উদ্দেশে রওনা হন। সকাল ৯টার দিকে নোয়ামুড়া এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন আজিজুল হকের লোকজন। জামাল প্রাণে বাঁচতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁর পায়ে কোপ দেন হামলাকারীরা। তিনি মাটিতে পড়ে যান। খবর পেয়ে হুমায়ুন কবিরের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তখন হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

আহত জামাল মিয়াকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা কুমিল্লায় পাঠিয়ে দেন। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান তিনি।
হুমায়ুন কবিরের ছেলে রুহুল আমি বলেন, আজিজুল হক খারাপ প্রকৃতির মানুষ। এলাকায় দলাদলি সৃষ্টি করাই তাঁর কাজ। আজিজুলের লোকজন তাঁর বাবা হুমায়ুন কবিরকেও পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যেই জামাল মিয়া খুন হলেন। তবে প্রতিপক্ষের আজিজুল হকের অনুসারী মো. রাজীব মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। কিন্তু এ ঘটনার সঙ্গে তাঁদের পক্ষের কেউ জড়িত নন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD