বাকের সরকার বাবর।।
ড. সফিকুল ইসলাম কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ‘প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা‘ হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার মাঠপ্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পলিসি পর্যায়ে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত কর্মরত আছেন। বিসিএস প্রশাসনের ২৫তম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৬ সালে সহকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট পদে যোগদান করেছেন।
.
তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন উপসচিব। এর আগে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব এডমিনিস্ট্রেশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম) এর ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন। তাছাড়া তিনি মাঠ প্রশাসনে সহকারি কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এনডিসি, আরডিসি, সিনিয়র সহকারি কমিশনার হিসেবে মাদারীপুর, চাঁদপুর ও রাংগামাটি জেলায় কাজ করেছেন। পাশাপাশি জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা, জেল সুপারিনটেন্ড, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে চার বছর দায়িত্ব পালন করেছেন চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলায়, বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায়, আর মৌলভীবাজার জেলার কমলগন্জ উপজেলায়।
.
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ ও এমবিএ করেছেন। জাপান সরকারের জেডিএস স্কলারশীপ নিয়ে জাপানের কোবে ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের আইপিআরএস স্কলারশীপ নিয়ে ব্রিসবেনের গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে রাজনৈতিক অর্থনীতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক পিয়ার রিভিউড খ্যাতমান জার্নালে তাঁর লেখা আর্টিক্যাল, বুক চ্যাপ্টার ও কনফারেন্স পেপার প্রকাশিত হয়েছে। ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্মেলনে তিনি একাডেমিক পেপার প্রেজেন্ট করেছেন।
.
তিনি দেশে বিদেশে নানান বিষয়ে তথা স্থানীয় সরকার, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা, সুশাসন, টেকসই উন্নয়ন, বাজেট পরিকল্পনা, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, অডিটিং, ফাইনানসিয়াল এনালিসিস, বর্জ ব্যবস্থাপনা, এডমিনিস্ট্রেশন, জেন্ডার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এসব প্রশিক্ষণের জন্য তিনি ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামসহ নানান দেশে ভ্রমণ করেছেন।
.
তিনি মতলব উপজেলা প্রশাসন শিক্ষা ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন স্ব উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায়। তিনি ‘মতলবের ইতিবৃত্ত‘ নামক একটি গ্রন্থ রচনা, সম্পাদনা ও প্রকাশ করেছেন। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। গান, কবিতা, উপন্যাস, গল্প ও প্রবন্ধ লেখা তাঁর নিয়মিত সুকুমারবৃত্তি।
.
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের সন্তান। পারিবারিক জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক; তাঁর সহধর্মীনী জনাবা মুসলিমা আক্তার জামান সুজন।
.
তিনি নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন, এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে সুসমন্বয় করে সিটি কর্পোরেশনকে নাগরিকবান্ধব করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবেন মর্মে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply