শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
নেতাজী এক জাতীয়তাবাদী মানবপ্রেমী বাঙালি

নেতাজী এক জাতীয়তাবাদী মানবপ্রেমী বাঙালি

দীপক সাহা ( পশ্চিমবঙ্গ)

নির্জন কক্ষ। এক ছাত্র গভীর মনযোগ সহকারে পড়ছে। হাতে আই.সি.এস.-এর নির্দেশিকা। পড়ছেন একমনে। কি পড়ছেন তিনি? পড়ছেন একটি চটি বই – ‘আই.সি.এস. দের অবশ্য জ্ঞাতব্য’। তাতে বিষয়মর্ম – ‘ভারতবর্ষে ঘোড়ার যত্ন’। এক জায়গায় এসে তাঁর চোখ আটকে গেলো – ‘ভারতবর্ষে ঘোড়া আর সহিসরা একই খাবার খায়’। হ্যাঁ খায়ই তো। দু’জনেই তো ছোলা খায়। সহিসেও খায় আবার ঘোড়াতেও খায়। খায় বলেই তো লিখেছে। আরও কী লেখা আছে ? লেখা রয়েছে – ‘ভারতবর্ষে ব্যাবসায়ী মাত্রই অসাধু’।

মূহুর্তে রক্ত গরম হয়ে উঠল ছেলেটির। এমন নির্লজ্জ ভাষায় তাঁর দেশের অবমাননা ? না, তাঁর পক্ষে সহ্য করা অসম্ভব। দেশের মর্যাদা তাঁর কাছে সর্বাগ্রে। তখনি ছুটলেন ইংল্যান্ডের ইন্ডিয়া অফিসে। উদ্দেশ্য – সিভিল সার্ভিস বোর্ডের সেক্রেটারি রবার্টসের সঙ্গে দেখা করা। রবার্টসকে সরাসরি প্রশ্ন করলেন ছাত্রটি, “এমন ভুল নির্দেশ ছাপিয়েছেন কেন আপনারা? এক্ষুনি বাতিল করা হোক এসব”। সব শুনে প্রচণ্ড রেগে গেলেন রবার্টস। চোখ রক্তাভ করে বললেন, “সরকারি হুকুম মানতেই হবে। না মানলে চাকরি ছেড়ে দাও। ”

— ছাড়ব তো নিশ্চয়ই, কিন্তু যাবার আগে ভুলগুলো সংশোধন করিয়ে তবেই যাব। চোখ রাঙ্গিয়ে তা আটকাতে পারবেন না। ছাত্রটির একরোখা মনোভাব দেখে রবার্টস বুঝলেন এভাবে ছাত্রটিকে নিরস্ত করা যাবে না। সংশোধন করতেই হবে। কথা দিলেন সংশোধন করবে।

ছাত্রটি সুভাষচন্দ্র বসু।

সেই ছোটবেলায় বীর সন্ন্যাসী বিবেকানন্দের রচনাবলী সুভাষের মননে এক বিপ্লব আনে। সুভাষের যখন পাঁচ বছর বয়স তখন স্বামীজি প্রয়াত হন। স্বামীজির ভাবশিষ্য সুভাষ গুরুর প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু তাঁর রচনা, বক্তৃতা ও চিঠিপত্র সুভাষের মনে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালায়, জাগিয়ে তোলে মানবপ্রেমের ভাবধারা। স্বামীজির মানবপ্রেম ও স্বদেশপ্রেমের আদর্শের অপূর্ব সমন্বয় গড়ে ওঠে সুভাষের মধ্যে। স্বামীজির জ্বালাময়ী বাণী গড়ে তোলে জাতীয়তাবাদী মানবপ্রেমী সুভাষকে।

প্রখর মেধাবী সুভাষ ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস(আইসিএস) পরীক্ষায় চতুর্থ হয়েও তাতে যোগ না দিয়ে পরাধীন দেশমাতাকে উদ্ধারের সংকল্প করেন। জাতীয়তাবাদী নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের হাত ধরে সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে রাজনীতিতে এসে পূর্ণ স্বরাজের দাবি তুললেন, যেখানে তৎকালীন জাতীয় নেতারা ক্ষমতার অংশীদার হতে সর্বোচ্চ স্বায়ত্বশাসন পর্যন্ত দাবি তুলতে পেরেছিলেন। স্বাধীনতার প্রশ্নে কোটি কোটি ভারতবাসীর অন্তরের কথা যেন সুভাষের কণ্ঠেই ধ্বনিত হল। দেশবাসী কংগ্রেস সভাপতি পদে তাঁকে সমর্থন দিয়ে জয়যুক্ত করলেন। ব্রিটিশদের কাছে ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকলেন সুভাষ। আপসকামী রাজনীতিবিদদের কুটচালে দ্বিতীয়বার কংগ্রেস সভাপতি পদে বিপুল সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে জয়ী হলেও পদত্যাগ করতে হল তাঁকে। একযোগে সুভাষচন্দ্র বসুকে লড়তে হয় ব্রিটিশ ও নিজ দেশের ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে সমানতালে।

কংগ্রেস সভাপতি পদ ত্যাগ করার পর ফের কারারুদ্ধ সুভাষ অনশন শুরু করলেন, অবস্থা বেগতিক দেখে কলকাতার নিজ বাড়িতে অন্তরীন করা হল তাঁকে। ব্রিটিশের পুলিশ-গোয়েন্দাদের হাজারো চোখে ধুলো দিয়ে সুভাষচন্দ্র বসু বেরিয়ে পড়লেন ঘর থেকে। এরপরের ঘটনায় তিনি কেবল ভারতবর্ষের নন, বিশ্বের এক কিংবদন্তি স্বাধীনতা সংগ্রামী মহান নেতায় পরিণত হলেন, হলেন সবার প্রিয় নেতাজি।

তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী, স্বদেশী এবং এক আন্তর্জাতিক মানের বাঙালি। স্রেফ বাংলা ও বঙ্গ জাতিতে আবদ্ধ না থেকে, সুভাষ স্বপ্ন দেখলেন স্বাধীন ভারতের। ডাক দিলেন ‘আজাদি’-র। আর তার এই ডাকে তিনি যেমন সঙ্গে পেলেন রাসবিহারী বসুকে, তেমনই তাঁর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের জন্য পাশে পেয়ে গেলেন আবিদ হাসান, লক্ষ্মী সেহগলের মতো সেনানীকেও।

তৎকালীন বিশ্বের মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর প্রধানরা নেতাজির অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্বের কাছে ম্লান হয়ে যেতে থাকলেন। তাঁকে বরণ করে নিতে থাকেন শ্রদ্ধার আসনে। নেতাজি বিশ্বের ক্ষমতাধরদের কাছ থেকে ভারতমাতাকে উদ্ধারের সমর্থন-সহযোগিতা আদায় করতে বেশি সময় নেননি। শক্তিশালী ব্রিটিশ-মার্কিন যৌথশক্তির বিরুদ্ধে নেতাজির এই যুদ্ধে আরেক ক্ষমতাধর জাপানসহ বেশকিছু দেশ পাশে থাকলেও তাঁর মূলশক্তি ছিল দেশপ্রেমের, সততার ও আদর্শের। নেতাজি তাঁর গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিটি সেনার অন্তরের সেই আদর্শের বীজ যথাযথভাবে রোপণ করতে পেরেছিলেন। সেই যুদ্ধে আজাদ হিন্দ ফৌজের হাজার হাজার সৈন্যের বলিদানের বহু বীরত্বগাঁথা ইতিহাসে ঠাঁই পায়নি।

জাপানের সহায়তায় নেতাজির নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশের বিরুদ্ধে পরিচালিত যুদ্ধে অভূতপূর্ব সাফল্য পায়। রক্তক্ষয়ী সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের পরাভূত করে মনিপুর-আন্দামান ও নিকোবর (নেতাজি যার নাম দেন ‘শহীদ দ্বীপ’ ও ‘স্বরাজ দ্বীপ’ ) সহ বিস্তীর্ণ ভারতভূমি অধিকার করে আজাদ হিন্দ ফৌজ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সেই সময়ে জাপানের আত্মসমর্পণ নেতাজির লড়াইয়ে ছন্দপতন ঘটায়। কিন্তু দেশজুড়ে গণমানুষের মাঝে যে অগ্নিস্ফূলিঙ্গ তিনি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন তা ব্রিটিশদের বিতাড়নের পথকে প্রশস্ত করে। স্বাধীনতার প্রশ্নে গণজোয়ারের সঙ্গে নৌবাহিনীতে বিদ্রোহ শুরু হয়।

প্রাক স্বাধীনতা পর্বে সুভাষ চন্দ্র বসু প্রথম ভারতীয়, যিনি ভারতীয়দের নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘ফ্রি ইন্ডিয়া সেন্টার’। সেখানে বাঙালি সংকীর্ণতা ও সাম্প্রদায়িকতার কোনও স্থান ইতিহাসে অন্তত খুঁজে পাওয়া যায় না। জাপানের সহায়তায় তৈরি হয়েছিল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি, যা পরিচিত আজাদ হিন্দ ফৌজ নামেও। যাদের এক এবং অভিন্ন লক্ষ্যই ছিল ‘আজাদি’। মোহন সিং ছাড়াও স্বরাজ-এ বিশ্বসী নেতাজি ফৌজ-এ ছিলেন জগন্নাথ রাও ভোসলে, শাহ নওয়াজ খান, পি কে সেহগাল সহ হাবিবুর রহমানের মতো নেতৃ্ত্বরা। আরও বাঙালি কর্নেল এসি চ্যাটার্জির মতো বাঙালিও।

এখানেই কি শেষ? না একেবারেই নয়। পরাধীন ভারতের প্রথম স্বশাসিত সরকার, যার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন স্বয়ং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। সুভাষের সেই মন্ত্রিসভায় এসি চ্যাটার্জির নাম যেমন ছিল, তেমনই ছিল লক্ষ্মী স্বামীনাথন, এ ম সহয়, এস এ আইয়ার, করিম জিয়ানি, সর্দার ঈশ্বর সিং, ডি এম খান, এম ইয়েলাপ্পা সহ দেবনাথ দাসের মতো ব্যক্তিত্বরা। সুভাষের গড়া সরকারের স্লোগান ছিল ‘জয় হিন্দ’। আদর্শ ছিল – বিশ্বাস, একতা এবং আত্মত্যাগ। এমনকি গোটা ভারতকে এক সুতোয় বাঁধতে রবীন্দ্রনাথের জন গণ মন-র ভাষান্তর করিয়ে সুভাষ সৃষ্টি করেছিলেন ‘শুভ সুখ চেন’। এই গানের ভাষান্তর করেছিলেন আবিদ হুসেন।

দেশভাগের মত সুদূরপ্রসারী সর্বনাশ করে ভারত ছেড়ে যায় ব্রিটিশরা। তবে রেখে যায় তাদের অনুগত দোসরদের, যারা নেতাজিকে মৃত প্রতিপন্ন করার চক্রান্তে মেতে উঠে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রকাশ্যে শারীরিক অনুপস্থিতির (১৯৪৫-এর পর থেকে) কয়েক দশক পেরিয়ে বহু তথ্য বহু কল্পকাহিনী ডানা মেলেছে। তাঁর বেঁচে থাকার বহু তথ্য প্রকাশ্যে এলেও ‘নেতাজি মৃত’ এমন প্রামাণ আজও অনুপস্থিত।

নেতাজী বরাবরই মনে করতেন, ‘একজন মানুষ একটি আদর্শের জন্য মৃত্যু বরণ করতে পারে। কিন্তু সেই আদর্শ তাঁর মৃত্যুর পরও হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকে।’ জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই আদর্শেই তিনি বেঁচেছেন এবং এই আদর্শকেই ভারতবাসীর পাথেয় করে গিয়েছেন।

কিন্তু তাঁর আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে তাঁর ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে নিয়ে চলছে রাজনৈতিক টানাহ্যাঁচড়া। কে কত নেতাজির নিকট তা নিয়ে চলছে জোর প্রতিযোগিতা। টিভির পর্দায় গরমাগরম আলোচনা, সমালোচনার ঝড়। রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের কথাবার্তায়,চালচলনে উপচিয়ে পড়ছে গদগদ নেতাজিপ্রেম। কে আগে নেতাজির গুণগান করবে তাই নিয়ে চলছে জোর তরজা। দিল্লির রাজপথ না কলকাতার রাজপথ কোথায় হবে নেতাজি ট্যাবলো এই নিয়ে চলছে সারাদিন হৈচৈ। নেতাজি ছিলেন সাম্য, মৈত্রী,একতা, অসাম্প্রদায়িকতার প্রতিমূর্তি। নেতাজির দ্বারা আজীবন লালিত পালিত বিষয়গুলিকে পদদলিত করে নেতাজির মূর্তি, ট্যাবলো নিয়েই মাতামাতি করছেন দেশের নেতানেত্রী ও তাঁদের সাঙ্গপাঙ্গরা । হার রে ভারতবর্ষ!

এ প্রসঙ্গে আমার প্রিয় বাংলাদেশী ভাইবোনেদের উদ্দেশ্যে একটি বিষয় উত্থাপন করতে চাই। কাউকে ব্যক্তিগত আঘাত দেওয়ার কোনও অভিপ্রায় আমার নেই। কারণ বাংলাদেশ আমার অত্যন্ত প্রিয়, হৃদয়ের ঘরে তার ঠাঁই। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান নেতাজি বাংলাদেশেও তাঁর যোগ্য মর্যাদা পাননি। ইতিহাসবিদদের মতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপ্রেরণা ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং বঙ্গবন্ধু যখন কলকাতায় ছিলেন তখন তিনি নেতাজির জাতীয়তাবাদী আদর্শে উজ্জীবীত হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের মধ্যে নেতাজির ছায়া পরিলক্ষিত হয়। ‘স্বাধীনতা চেয়ে পাওয়া যায় না, ছিনিয়ে নিতে হয়’ সুভাষের এই বাণীই বিপ্লবের উন্মেষ ঘটিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর মনে ।

২০১২-সালে প্রকাশিত জেলাখানায় বসে লেখা শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-তে সুভাষ-মুজিবের আদর্শিক সম্পর্কের অনেক চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে মুজিব তাঁর তরুণ বয়েসে নেতাজির দ্বারা উদ্বেলিত-আলোড়িত হওয়ার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করেছেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে কলকাতা সফরে গিয়ে রেড রোডে নেতাজির প্রতিকৃতিতে অবনত শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাঁর আদর্শ পুরুষের প্রতি। পরবর্তীতে বাংলাদেশে নেতাজিকে নিয়ে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধান বা রাজনীতিক উপমহাদেশের মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে স্মরণ রাখেননি। শ্রদ্ধা জানাননি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই বীর বাঙালিকে। আক্ষেপ, বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর গভীর আদর্শিক সম্পর্ক ইতিবৃত্ত স্থান পায়নি ইতিহাসের পাতায়। দুঃখের বিষয় বাংলার দুই শ্রেষ্ঠ সন্তানের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্র নিয়ে সেভাবে চর্চা বা গবেষণা এখনও হয়নি। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ জন্মবার্ষিকী পালন এবং নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী পালন, এই দুই যুগনায়কের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে দুই দেশের মানুষ এগিয়ে আসুন পবিত্র মনে। দুই বীর দেশপ্রেমিককে চর্চা হোক খোলা মনে। তাঁদের আদর্শ ও জীবনবোধ আমাদের পাথেয় হোক। তবেই বাংলার এই দুই শ্রেষ্ঠ মনীষীর প্রতি আমাদের সঠিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হবে।
সহায়ক গ্রন্থ –
১।সুভাষ ঘরে ফেরে নাই : শ্যামল বসু
২। নেতাজি গেলেন কোথায়? (১৯৯৫) : ড. জয়ন্ত চৌধুরী
৩।উদ্যত খড়্গ, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
৪। আমি সুভাষ বলছি, শৈলেশ দে
৫। সমগ্র সুভাষ রচনাবলী, আনন্দ পাবলিশার্স, তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ
৬। অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান
ঋণস্বীকারঃ আশরাফুল ইসলাম, নেতাজি গবেষক।
অনর্ঘ সরকার, নেতাজিপ্রেমী।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD