কলকাতা প্রতিনিধি
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
চরমতম নিন্দনীয় নৃশংস ও পাশবিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলো এই হাথরাস। যদিও ঘটনাটির আগুনের আঁচকে প্রশাসনিক দিক থেকে নানাভাবে দমিয়ে রাখার প্রাণপণ চেষ্টা চলছে। কারণ অজানা! উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে ১৯ বছরের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন এবং পরে পরিবারের অনুমতি ছাড়াই তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সারা দেশ ফুঁসছে। শুক্রবার দেশের প্রথম সারির সংবাদ সংস্থার এক প্রতিনিধি দলকে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সাথে কিছুতেই দেখা করতে দেওয়া হল না। দীর্ঘক্ষন বাদানুবাদ চলে পুলিশ ও ঐ সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধি দলের সাথে। কিন্তু আখেরে হতাশাই জোটে সংবাদ সংস্থার প্রতিনিধিদের কপালে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই কাজটি ভীষণ দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন। এদিকে শুক্রবার AITC এর সাংসদদের একটি দল উত্তরপ্রদেশের নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে ওই রাজ্যের পুলিশের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত ও হেনস্থা হন বলে খবর। উক্ত সাংসদদের দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন‚ কাকলি ঘোষ দস্তিদার‚ প্রতিমা মণ্ডল ও মমতাবালা ঠাকুর। উক্ত ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শনিবার বিকেল ৪টে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বার করতে চলেছেন। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে শুরু করে মেয়ো রোডে গান্ধীর পাদদেশ পর্যন্ত চলবে এই মিছিল।
বালা ঠাকুর পুরুষ পুলিশদের বিরুদ্ধে গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ আনেন। সাংসদ ডেরেক’কেও ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ আনা হয়। এরই প্রতিবাদে শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হবে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে উত্তরপ্রদেশের প্রশাসন কি তবে কোনোভাবে সত্যকে গোপন করার চেষ্টা করছে!
Leave a Reply