নিউজ ডেস্কঃ
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাল্যবিয়েতে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে উঠে এসেছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশের বাল্যবিয়ে পরিস্থিতি বিষয়ে ইউনিসেফের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই হারের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে অবশ্য ইউনিসেফ জানিয়েছিল, ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে ৫২ শতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে সেই হার বেড়ে ৫৯ শতাংশে দাঁড়ায়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার কমে ৫১ শতাংশ হয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার ‘এন্ডিং চাইল্ড ম্যারেজ: আ প্রোফাইল অব প্রোগ্রেস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সচিবালয় প্রান্ত থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা এতে যুক্ত হন।
এই অনুষ্ঠানে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ইউনিসেফের সিনিয়র অ্যাডভাইজার ক্লডিয়া কাপ্পা।
তিনি প্রতিবেদনটি তুলে ধরে জানান, দেশের পুরো জনসংখ্যার মধ্যে ৩ কোটি ৮০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে (১৮ বছরের আগে বিয়ে) হয়েছে। এদের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখের বিয়ে হয়েছে ১৫ বছরের আগে। বাল্যবিয়ের শিকার শিশুদের বেশিরভাগ দরিদ্র পরিবারের ও গ্রামে বাস করে। বাল্যবিয়ের শিকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার অবিবাহিত মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় ৪ গুণ বেশি।
এছাড়া বিবাহিত প্রতি ১০ জনের মধ্যে প্রতি পাঁচজন ১৮ বছরের আগে ও প্রতি ৮ জন ২০ বছরের আগে সন্তান জন্ম দেয়।
তিনি আরও জানান, দেশের মধ্যে বাল্যবিয়েতে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। এ বিভাগে ৯০ লাখ নারীর বাল্যবিয়ে হয়েছে। জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এ জেলায় বাল্যবিয়ের হার ৭৩ শতাংশ। বাল্যবিয়ে সবচেয়ে কম চট্টগ্রাম জেলায়। এ জেলায় বাqdaল্যবিয়ের হার ৩৯ শতাংশ
Leave a Reply