রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
বিশ্ব মানবতার স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বিশ্ব মানবতার স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারত্ব গড়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ডেস্ক রিপোর্ট।।
ছবিঃ সংগৃহীত
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক মানবতার অভিন্ন স্বার্থে দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে ইউনেসকোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্থাটির সদরদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান এ আহ্বান জানান। ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সহিষ্ণুতা ও মর্যাদা সঞ্চারিত করার মাধ্যমে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে আমরা শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং যোগাযোগকে কার্যকর হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের সাফল্য উদযাপনের এক অনন্য মুহূর্ত। এছাড়াও এটি শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরবর্তী ২৫ বছরে সংস্থার কার্যকলাপগুলোকে পুনর্বিবেচনা এবং আত্মসমালোচনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ। ইউনেস্কোর নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার ১৯৭২ সালে আমাদের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভের মাধম্যে প্রতিফলিত।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এই সংগঠনকে বিশ্ব শান্তি ও সম্মিলিত সমৃদ্ধি জোরদারের জন্য অন্যতম কার্যকর মঞ্চ হিসেবে বিবেচনা করি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তিকেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতি দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ সর্বদা বিশ্ব শান্তি উদ্যোগের অগ্রভাগে থাকে। শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় আমাদের অংশগ্রহণ এমনই একটি ঘটনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃত্তি প্রদান, লিঙ্গ-সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম, আইসিটি শিক্ষার মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে শিক্ষায় আমাদের বিনিয়োগ প্রচুর। আমাদের দেশে বছরের শুরুতে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে ৪০ কোটি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ মহাপরিকল্পনা আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করছে। আমরা আমাদের শিক্ষা মহাপরিকল্পনায় আইসিটি চালু করেছি, এর আওতায় প্রায় ৮৩ হাজার স্কুলকে আইসিটি ডিভাইস সরবরাহ করা হয়েছে এবং ৩ লাখ ২৬ হাজার ৯৩৬ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউনেস্কো বিশ্বের জন্য আশা ও শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। এ অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন শান্তির প্রবক্তা এবং মানবতায় দৃঢ় বিশ্বাসী। মানুষের অদম্য কর্মস্পৃহা, অসম্ভবকে সম্ভব করার ও অনতিক্রম্য বাধা অতিক্রম করার ক্ষমতায় তার (বঙ্গবন্ধুর) গভীর আস্থা ইউনেস্কোর চেতনা অনুরণিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ‘সৃজনশীল অর্থনীতি’র জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, এই আন্তর্জাতিক পুরস্কার অবশ্যই সৃজনশীল উদ্যোক্তা বিকাশে উৎসাহ যোগাবে।

ইউনেস্কো জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করায় মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে স্থান দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের নেতাকে এই ধরনের গভীর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আমি ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাই।’
মহামারি বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং আমাদের জীবন বদলে দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি আমাদেরকে উদ্ভাবনী কাজ এবং গতির মাধ্যমে বেঁচে থাকতেও শিখিয়েছে।

মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের পথে থাকা বিশ্বের সামনে চারটি পরামর্শ তুলে ধরে তিনি বলেন, আসুন আমাদের বিশ্ব মানবতার অভিন্ন কল্যাণের জন্য দৃঢ় অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে এই মুহূর্তটি কাজে লাগাই।

প্রথম পরামর্শে মহামারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুনরুদ্ধারের জন্য, ডিজিটাল সরঞ্জাম ও পরিষেবা, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, ডিজিটাল বিষয়বস্তু ও শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে আমাদের একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা দরকার।

দ্বিতীয়ত, প্রযুক্তি-সহায়ক অর্থপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ তৈরির জন্য অবশ্যই সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব গড়তে হবে। তৃতীয়ত, করোনা টিকাকে অবশ্যই একটি ‘বৈশ্বিক গণপণ্য’ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সবার কাছে, বিশেষ করে, বিশ্বব্যাপী ছাত্র ও শিক্ষকদের কাছে টিকা লাভের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।’

চতুর্থ ও শেষ পরামর্শে তিনি বলেন, আমাদের জনগণের কল্যাণের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তরকে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।

সুত্রঃ বাসস

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD