সৌরভ আহমেদ শাকিব
পেরিয়ে যাচ্ছি শরণার্থী শিবির,
পেরিয়ে যাচ্ছি অনেক নিষেধ-বারণ।
সূর্য ডুবে যাওয়ার আগে একপাল ভেড়া
ছায়া মুখে করে ফিরে যাচ্ছে বাঁধের উপর দিয়ে।
নিজেকে অশক্ত মনে হলে
যেভাবে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মানুষ,
তেমনই আশেপাশে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য মৃতগাছ;
ভাষাহীন, নিস্তব্ধ..
আমি দিনের শেষ আলোটুকু পাথেয় করে
হেঁটে চলেছি বনঝোপ,
বিস্তীর্ণ ঊষর ভূমি ও কোলাহল পিছনে ফেলে।
আমার এই পথচলায় সঙ্গী হল
একটি ছাইরাঙা পাখি।
যার রক্তাভ বুকের দিকে তাকিয়ে
আমার মনে হল সে খুব বিধ্বস্ত।
সে তার অসুস্থ শাবকদের জন্য
খাদ্যানুসন্ধানে এসে ফিরে যাচ্ছে
ক্লান্তিকর অভিজ্ঞতা নিয়ে।
তার সাথে আমার কোনো বাক্যবিনিময় না হলেও,
আমি বুঝতে পারছিলাম তার বিপুল ক্লান্তির কথা।
সে এতটাই নীরবভাবে উড়ে চলছিল যে
আমি তাকে বিরক্ত করলেও,
সে কোনো প্রত্যুত্তর দিত না।
আমি পেরিয়ে গেছি
শরণার্থী শিবিরের সংকটের রূপরেখা।
এখন উষ্ণ চা কাপে ঠোঁট ঠেকিয়ে
প্রেমের কবিতা পড়তে পড়তে
নিজেকে হাল্কা লাগলেও,
অনুভব করলাম সূর্যাস্তের বিদ্রুপ এসে কড়া নাড়ছে
আমার পুরনো রুখাশুখা বারান্দায়।
আর অন্ধকার গ্রাস করছে
স্বস্তিদায়ক প্রেমের অভিধানটিকে।
আর তার ফাঁকে সেই পাখিটি ক্ষণিকের জন্য ঠোঁট
খুলে কী যেন বার্তা ফেলে গেল অন্ধকারের ভিতর…
Leave a Reply