কলকাতা প্রতিনিধি
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়
মিজোরামের সঙ্গে অসমের ১৬৪.৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে৷ দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত বিবাদ দীর্ঘদিনের সমস্যা৷ মিজোরামের বাসিন্দাদের তরফে অভিযোগ, করোনা অতিমারির সময় বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের মিজোরামে প্রবেশ আটকাতে অসম সীমান্তের সাইহাইপুর গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হয়েছে৷ তাঁদের থাকার জন্য তৈরি করা একটি কুঁড়ে ঘর অসমের বাসিন্দারা ভেঙে দেন৷ এই নিয়েই উত্তেজনার সূত্রপাত৷
মিজোরামের ভাইরিংতে এবং অসমের লাইলাপুর গ্রামের বাসিন্দারা এর পরই লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন৷ অসমের বাসিন্দারা মিজোরামের বাসিন্দাদের লক্ষ্য করে পাথর ছো়ডেন বলে অভিযোগ৷ এর পাল্টা অসমের গ্রামে ঢুকে জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কিছু ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন মিজোরামের বাসিন্দারা৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে এলাকাগুলিতে সংঘর্ষ ছড়িয়েছে, সেখানে বিশাল সংখ্যক নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে দুই রাজ্যের তরফে৷ অন্যদিকে একটি মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে মিজোরাম এবং ত্রিপুরা সীমান্তেও গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বাড়ছে৷
এলাকায় শান্তি ফেরাতে ইতিমধ্যেই অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাংগার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন৷ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককেও সর্বশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছে অসম সরকার৷ পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে সোমবারই তড়িঘড়ি দুই রাজ্যের মুখ্যসচিবদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভল্লা৷ মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে আলোচনায় অসমের মুখ্যমন্ত্রীও সীমান্ত এলাকায় শান্তি ফেরাতে যৌথ উদ্যোগের উপরে জোর দিয়েছেন৷
Leave a Reply