বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন

কিশোরগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে ঘুণিঝড়ের কবলে আবাদী ফসলসহ শতাধিক পরিবার, জেলা প্রশাসকের ত্রান সহায়তা

কিশোরগঞ্জে ঘূর্ণিঝড়ে ঘুণিঝড়ের কবলে আবাদী ফসলসহ শতাধিক পরিবার, জেলা প্রশাসকের ত্রান সহায়তা

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,নীলফামারী ঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে হঠাৎ করে ভারী বর্ষনের সঙ্গে ওই ঘূুর্ণি ঝড় সৃষ্টি হয়। ঝড়ের গতি কমপক্ষে ১০০ কিলোমিটারের মতো হবে বলে এলাকাবাসী জানায়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে ও জমির আমন ধান মাটিতে মিশে গেছে। তবে হতাহতের ঘটনা পাওয়া যায়নি বলে উক্ত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফি। তিনি বলেন, ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়া,ডাঙ্গাপাড়া, বটতলা ও দর্জিপাড়া গ্রামের বাড়ীঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তার মধ্যে ৩৫ পরিবার বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পারে বলে তিনি ধারণা করেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে স্থানীয় স্কুলে রাখার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান জানান, তার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুশা গ্রামের বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে। বৃষ্টির কারনে এলাকায় প্রবেশ করা যাচ্ছেনা।
চাঁদখানা ইউনিয়নের প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার সময় প্রচন্ড কালো মেঘ ছিল আকাশে। প্রচন্ড ভারী বৃষ্টি চলতেছিল। হঠাৎ করে একটি ফানেলের মতো ঘূর্ণিঝড় কয়েক মিনিটে এলাকার সবকিছু ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়ে যায়।
চাঁদখানা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুজার রহমান জানিয়েছেন, আমি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে প্রবল বেগে ঝড় বইতে শুরু করল। দেখলাম বিশাল উঁচু মেঘ মাটি থেকে আকাশ ছুঁয়েছে।
এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান ভাকু জানান, নিমিষের মধ্যে ঘুর্ণিঝড় তছনছ করে দিল বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা।
কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মিঠুন মিয়া বলেন, জীবনে এমন ঝড় চোঁখে দেখিনি। হঠাৎ এলো, হঠাৎ চলে গেল। মাঝখানে বেশ কিছু বসতঘর ও গাছপালা ভেঙ্গে পড়লো আমন ধানের ক্ষেত মাটিতে পড়ে পানিতে ডুবিয়ে গেছে।

ওই এলাকার নয়া মিয়া (৫৫) জানান, ঝড়ে তার বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। তার মতো অসংখ্য বসতবাড়ির টিনের চালা ঝড়ে ভেঙ্গে পড়েছে।

কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন,ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী নিজ হাতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ৭ দিনের শুকনা খাবার দেন। তাদের তালিকা অনুযায়ী আরও সহযোগীতা করা হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD