খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥
কয়েকদিনের টানা বর্ষনের ফলে ও সৃষ্ট বন্যায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ কাঁচা ও পাঁকা সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগের অনেক সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদখানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর বাড়ির সামনে থেকে কিশোরগঞ্জ আসার একমাত্র পাকা রাস্তাটির সরঞ্জাবাড়ি নামক স্থানে সদ্য নির্মিত একটি কালভার্টসহ প্রায় ৫০ মিটার সড়ক ধসে গেছে । ফলে ওই এলাকার চারটি গ্রামের হাজার হাজার মানষ উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
সরঞ্জাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম, রাজু মিয়া বলেন, পানির চাপ বেশি হওয়ার কারনে কালভার্টটি সহ প্রায় ৫০ মিটার সড়ক ভেঙ্গে গেছে। আমরা বাধ্য হয়ে তারাগঞ্জ কিশোরগঞ্জ সড়ক দিয়ে উপজেলা শহরে যাতায়াত করছি।
অপর দিকে নিতাই ইউনিয়নের চানশাপাড়া এলাকায় নয়ানখাল হয়ে তারাগঞ্জ- কেল্ল্যাবাড়ী সড়কের প্রায় ১৫ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় কিশোরগঞ্জের সাথে প্রায় ২০ হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ হয়েছে। বিকল্প রাস্তা হিসেবে বাহাগিলী ইউনিয়নের পাগলাটারী হয়ে চলাচল করছে সাধারণ মানুষ।
নিতাই ইউনিয়নের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ বলেন,আমরা প্রায় সময় তারাগঞ্জ হাটে কেনা বেচা কওে থাকি। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের সামেন দিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার অতিক্রম করে তারাগঞ্জে যেতে হবে। অপর দিকে পন্যবাহী কোন গাড়ী নিতাই ডাঙ্গার হাটের মানুষ কিশোরগঞ্জে আসতে হলে অবশ্যই উপজেলার কেল্ল্যাবাড়ী হয়ে কিশোরগঞ্জ বাজারে যেতে হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল হক বলেন, কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারনে শুধু চাঁদখানা ইউনিয়নে নয় নিতাই ইউনিয়নের কাচারীবাজার থেকে শুরু করে তারাগঞ্জ উপজেলা যাতায়াতের মুল সড়কটির কালুরঘাট পাগলাটারীর সড়ক ভেঙ্গে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। ওই সড়কগুলো বাদে আরো অনেক সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা সড়কগুলো পরিদর্শন করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করছি। বৃষ্টি শেষ হলে বাকী সড়ক মেরামত করা হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন,উপজেলার অনেক সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে কিশোরগঞ্জের সাথে অনেক এলাকার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়েছে। খুব তারাতারি করে সড়কগুলো সচল করার জন্য উপজেলা প্রকৌশলীকে বলেছি।
Leave a Reply