খাদেমুল মোরসালিন শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধি \
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষরে ১শ ৭৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ লক্ষাধিক টাকা উধাও হওয়ার বিষয়ে উপজেলা শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৫ নভেম্বর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আক্তারের একাউন্টে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য প্রত্যেক স্কুল প্রতি ২ হাজার করে টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু সেই টাকা লেজারের মাধ্যমে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের একাউন্টে প্রেরণ করার কথা থাকলেও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আক্তার শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী রুহুল আমিনের কাছে সেই টাকা উত্তোলনের জন্য স্বাক্ষর প্রদান করেন। পরে ওই হিসাব সহকারী রুহুল আমিন সেই টাকা উত্তোলন করে গত ১৫ নভেম্বর থেকে উধাও হয়ে যায়। হঠাৎ করে গত ১৩ ডিসেম্বর হিসাব সহকারী রুহুল আমিন অফিসে আসলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাকে আটকে রেখে বিষয়টি গোপনে মিমাংসা করার চেষ্টা করে। পরে কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি জানতে পেয়ে উপজেলার সকল প্রধান শিক্ষকদের বিষয়টি জানার পর সকল প্রধান শিক্ষক তাদের টাকা আদায়রে জন্য অফিসের সামনে ভিড় করতে থাকে। বিষয়টি টের পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আক্তার প্রায় ঘন্টাব্যাপী শিক্ষা অফিসের ভিতরে তালা লাগিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে টাকা উদ্ধারের জন্য হিসাব সহকারী রুহুল আমিনকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু কোন ভাবে সেই টাকা উত্তোলন করতে না পারায় পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে রুহুল আমিনকে নিয়ে গেলে সেখানে ১৬ ডিসেম্বর টাকা জমা দেয়ার জন্য প্রতিশ্রæতি দেয় হিসাব সহকারী রুহুল আমিন। কিন্ত ১৭ ডিসেম্বর বিকালে টাকা জমা না দেয়ার কারণে ২০ ডিসেম্বর রবিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে বিভাগীয় মামলা করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার।
শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী রুহুল আমিনের মুঠো ফোনে (০১৭১৪৯৪২৩৪৬) চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শরিফা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমরা ১৭ ডিসেম্বর বিকাল পর্যন্ত টাকা উদ্ধারের বিষয়ে অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর টাকা না পাওয়ার কারণে বিভাগীয় মামলা করার জন্য আমরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে চিঠি দিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা বেগম বলেন,আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিভাগীয় মামলা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন,বিষয়টি আমি জানার পর আমি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি নিয়ে একটু সময় চেয়েছিল বলে আমরা এখনও কোন ব্যবস্থা নিতে পারি নাই। এখন আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব। # সাথে ছবি আছে।
Leave a Reply