মোঃ জসিম উদ্দিন, খানসামা প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৩ নং আংগারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ানগড় গ্রামের
মাদার দরগাহ এর পাশ দিয়ে পাকের হাট যাওয়ার কাঁচা রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দেখা দিয়েছে যাতায়াতের বিভিন্ন সমস্যা।
রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে।
প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে এলাকার হাজার হাজার জনসাধারণ যাতায়াত করেন। চলে অংসখ্য ছোট ছোট যানবাহন ।
রাস্তাটিতে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে বলে প্রায় ঘটছে ছোটখাট দুর্ঘটনা।
রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কারের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
গত কয়েক দিন ধরে গ্রামের জনসাধারন সহ শিক্ষার্থীরা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে স্হানীয় ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র রায়কে জানালে পরে টলিতে করে কিছু মাটি নিয়ে এসে গর্তের মধ্যে দেওয়া হয় তারপরে দেখা যায় বৃষ্টির কারনে মাটি দেয়ার ফলে আরও বেশি কাঁদাযুক্ত হয় এবং বেশি অসুবিধে হয়।
উক্ত গ্রামের বেলাল সহ কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, অামাদের এই রাস্তার বেহাল দশা দেখার মত লোক নাই।
রাস্তাগুলো অনেকদিন ধরে এমন বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা উপজেলার কোনো কর্মকর্তা খোঁজ নেয়নি।
আমরা শুনেছি ৪০ দিনের কর্মসূচি কাজে রাস্তায় মাটি ফেলা হয়। কর্মসূচির প্রকল্পেও যদি এই রাস্তাগুলোতে মাটি ফেলা হত তাহলে মানুষের ভোগান্তি কম হত। এসব রাস্তায় এখন যানবাহন তো দুরের কথা মানুষই হাটতে পারে না।
আংগারপাড়া ইউপির ছাতিয়ান গড় গ্রামের ইপিজেড কর্মী আরিফুল ও শাহিন আলম (রনি) বলেন,,রাস্তার এ রকম বেহাল দশার কারনে আমরা সঠিক সময়ে যাতায়াত করতে পারি না এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন সমস্যার মুখো মুখি হতে হয়।
রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করেছেন ৭ নং ইউপি সদস্য মানিক চন্দ্র,এবং তিনি জানান, ‘‘রাস্তাটি পাকা করনের ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যেই বাজেট বরাদ্দ হয়েছে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য রাস্তার সংস্কার করতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে “ বর্ষার পরেই রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে।”
এ ব্যাপারে গ্রামের বাসিন্দা সরকারী দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সকলেই নিজ নিজ জায়গা থেকে জনসাধারণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।
Leave a Reply