মোঃ মহসিন মিয়া
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে, গোসাইরহাটে, গোসাইরহাট বাজারে আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গোসাইর হাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান ঢালী, গেসাইর হাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান, উপস্থিত ছিলেন গোসাইর হাট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মৃধা, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বাবলু মৃধা, সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক,
গোসাইর হাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজমল হোসেন নয়ন দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ভুট্ট মালত ও গোসাইর হাট শামসুর রহমান কলেজ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান রাজু বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ,আরো অন্যন নেতা বৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আজকের এই দিনটি স্মরনিয় দিন। এই ১৪ ডিসেম্বর দিনটিতে যারা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমতি ছিলেন। তাদেরকে রাজাকার বাহিনী মেরে ফেলে। যাতে করে দেশের কোন লোক বিজয়ের কথা না ভাবে। ১৪ ডিসেম্বরে যা যা হয়েছিল।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, শাজাহান সিকদার, গোসাইর হাট উপজেলা আওয়ামীলীগ।
১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৪ই ডিসেম্বর এক কালোঅধ্যায়। এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোহিতায় বাঙালি জাগরণের এদেশের সূর্য -সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে । ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা আর কোনো ভাবেই সম্ভব নয়, তখন তারা বাঙালি জাতিকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের দেশীয় দোসরদের সঙ্গে নিয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নিজ নিজ বাড়ি হতে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এই পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। তাই প্রতিটি বাঙালি ১৪ ডিসেম্বরকে পরম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় শহীদ দিবস হিসেবে স্মরণ করে থাকে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, বাঙালি জাতির জীবনে একটি অত্যন্ত শোকাবহ দিন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান, যারা জাতির যে কোন বিপর্যয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন সেসব মেধাবী ধীমান ব্যক্তিবর্গ শেষ পর্যন্ত পাকি হানাদার বাহিনী ও তাদেরে এদেশীয় দোসরদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হন। বাংলাদেশের ভাষা ও স্বাধীকারের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকতেন বুদ্ধিজীবীরা। তারা সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে বাঙালিদের বাঙালি জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাদের এই আন্দোলনের ফলেই জনগণ ধীরে ধীরে নিজেদের দাবি ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠতে থাকে যা পরবর্তীতে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। তাই যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানী বাহিনী বাছাই করে করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করতে থাকে। এছাড়া যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যখন পাকিস্তানের পরাজয় যখন শুধু সময়ের ব্যাপার তখন বাঙালি জাতি যেন শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে দূর্বল হয়ে পড়ে তাই তারা বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেবার লক্ষ্যে তালিকা তৈরি করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এদেশকে মেধাশূন্য করে পঙ্গু করে দেয়ার জন্য তারা দেশের মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নীলনকশা প্রণয়ন ও বাস্তাবায়ন করে।
২৫ শে মার্চের কালোরাত্রি থেকেই ঘাতক-দালালদের বুদ্ধিজীবী নিধন-যজ্ঞ শুরু হয়।
১১২৪ – থিওবাল্ড বুক্কাপেকাস পোপ নির্বাচিত হন।
১৫৬৮ – রাজকুমারী মেরী স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রাণী হন।
১৫৭৫ – ইস্টভান বাথোরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন।
১৬৫৬ – প্রথম কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হয়।
১৮০৫ – ফসিল জ্বালানী হিসেবে পাথুরে কয়লার তীব্র তাপ শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।
১৯০১ – বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাংকের কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন।
১৯০৩ – বিমান আবিষ্কারকারী রাইট ভাতৃদ্বয় উত্তর ক্যারোলিনায় প্রথম আকাশযান উড্ডয়নের প্রচেষ্টা নেন।
১৯১১ – নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোল্ড আমুন্ডেসন ওলাভ জালান্ড, হেলমার হ্যানসেন, স্ভেরে হ্যাসেল ও অস্কার উইস্টিংকে নিয়ে গড়া তার দল নিয়ে প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে।
১৯১৫ – জ্যাক জনসন কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে প্রথম হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন হন।১৯১৮ – ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে মহিলাদের সর্বপ্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ।
১৯৪৬ – আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ( আইএলও ) জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ।
১৯৪৬ – জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলী নিউ ইয়র্কে সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে ভোট দেয়।
১৯৪৭ – রুমানিয়া প্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত।
১৯৫৫ – আলবেনিয়া, অস্টৃয়া, বুলগেরীয়া, ক্যাম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী, আয়ারল্যা ন্ড, ইতালী, জর্দান, লাওস, লিবিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও শ্রীলংকা জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৬০ – সোমালিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৯৬১ – তাঞ্জানিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা বুদ্ধিজীবীদের ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
১৯৭১ – মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনী বাংলাদেশের অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। নিহত ও নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ড. এ এন এম ফাইজুল মাহী, হুমায়ূন কবীর, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, সাজিদুল হাসান, ফজলুর রহমান খান, এন এম মনিরুজ্জামান, এ মুকতাদির, শরাফত আলী, এ আর কে খাদেম, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, এম এ সাদেক, এম সাদত আলী, সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. এম মর্তুজা, ড. হবিবুর রহমান, ড. সুখারঞ্জন সমাদ্দার, মীর আবদুল কাইউম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, অধ্যাপক ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আলিম চৌধুরী, ডা. হুমায়ুন কবীর, ডা. আজহারুল হক, ডা. সোলায়মান খান, ডা. আয়েশা বদেরা চৌধুরী, ডা. কসির উদ্দিন তালুকদার, ডা. মনসুর আলী, ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা, ডা. মফিজউদ্দীন খান, ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. নুরুল ইমাম, ডা. এস কে লালা, ডা. হেমচন্দ্র বসাক, ডা. ওবায়দুল হক, ডা. আসাদুল হক, ডা. মোসাব্বের আহমেদ, ডা. আজহারুল হক, ডা. মোহাম্মদ শফী, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক নিজামুদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মুস্তফা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, সাংবাদিক শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, গীতিকার ও সুরকার আলতাফ মাহমুদ, রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, সমাজসেবক ও দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা, শিক্ষাবিদ ও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, লেখক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, কবি মেহেরুন্নেসা, শিক্ষাবিদ ও গণিতজ্ঞ ড. আবুল কালাম আজাদ, আইনজীবী নজমুল হক সরকার, সমাজসেবক ও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক নূতন চন্দ্র সিংহসহ ।
১৯৮১ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ অধিকৃত গোলান মালভূমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে।
১৯৯৪ – সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চীনের তখনকার রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী লি ফেং সারা বিশ্বের কাছে “ইয়াংসি নদীর তিনগিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু ” হবার কথা ঘোষণা করেন।
১৯৯৫ – প্যারিসে বসনীয় শান্তিচুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৫ – প্যারিসে এক সম্মেলনে ডেইটন চুক্তি চূড়ান্ত করা হয় এবং একই বছরের ২১ শে নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেইটন নামক স্থানে মার্কিন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে বসনিয়ার মুসলমান, সার্ব ও ক্রোয়াট নেতৃবৃন্দ এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১৯৯৬ – বাংলাদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর।
১৯৯৯ – কিরিবাতি, নাউরু, টোঙ্গা জাতিসংঘে যোগ দেয়।
সভার শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
Leave a Reply