সিদ্ধার্থ সিংহ
ভদ্রমহিলা গেছেন শপিংমল-এ।
সারা সপ্তাহের জন্য কিনছেন চাল-ডাল, আলু-পটল, তেল-লঙ্কা
শো-কেস থেকে জ্যাম-জেলি, সেন্ট, দুধের কৌটো
ঝুড়ি থেকে মুরগি, জিইয়ে রাখা মাছ
কোণের কাউন্টার থেকে ওষুধপত্র।
যেতে যেতে নজরে পড়ল সামনের খাঁচায় কতগুলো বালক।
স্বামী ভীষণ ব্যস্ত, তিনি আরও।
ফাইফরমাস-খাটা রোবটদের থেকেও এগুলো অনেক সস্তা
তাই এক পলকেই পছন্দ করে ফেললেন তাগড়াই একটা।
বাড়ি ফিরে ছেলেটাকে বললেন, জল দিতে
ছেলেটি দিল না।
এটা করতে বলেন, সেটা করতে বলেন
কিন্তু কে শোনে কার কথা!
ভদ্রমহিলার কেমন সন্দেহ হল
তিনি এক হ্যাঁচকায় খুলে নিলেন ছেলেটার জোব্বা
পিঠে চোখ পড়তেই— এ কী!
তিনি আলু-পটল, জ্যাম-জেলি, মুরগি-মাছ
এমনকী, ওষুধগুলোও খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলেন
— নাঃ, সব ঠিক আছে, শুধু এই একটা জিনিসেই
দোকানদার তাকে বড্ড ঠকিয়েছেন
এর ডেট এক্সপায়ারড্ হয়ে গেছে অনেক আগেই।
ভদ্রমহিলা ছুটলেন দোকানে
এই ত্রুটির জন্য ক্ষমা-টমা চেয়ে
দোকানদার তাঁকে বেছে নিতে বললেন অন্য একটা বালক।
তার পরে হাঁক পাড়লেন।
ধুমসো মতো দুটো লোক এসে
ছেলেটাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে লাগল ভেতরে।
সেটা দেখে ভদ্রমহিলার বড় মায়া হল, তিনি জিজ্ঞেস করলেন—
ওকে কি আপনার মেরে ফেলবেন?
নির্বিকার ভাবে দোকানদার বললেন—
না না, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো আছে না…
Leave a Reply