বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
জামালপুরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

জামালপুরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
জামালপুরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার অবহেলায় এক মহিলার মৃত্যুর অভিযোগে রোগীর স্বজনদের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা-ভাংচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে টানা তৃতীয় দিনেও কর্মবিরতি অব্যহত রেখেছেন জামালপুর জেনারেল হাসপাতালসহ ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। এছাড়াও বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। একদিকে করোনা অন্যদিকে শীতজনিত জটিল রোগের প্রাদুর্ভাব, এসময় এ ধরনের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি দূভোর্গ বাড়িয়েছে রোগীদের।
এদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু এবং রোগীর স্বজনদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর শহরের বকুলতলা চত্বরে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোগীর স্বজনসহ এলাকাবাসী।
হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, কোন পুর্ব ঘোষনা ছাড়াই চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন তারা। জামালপুর জেলার ৭ উপজেলাসহ প্বার্শবর্তী শেরপুর ,টাঙ্গাইল জেলার বহু মানুষ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। কর্মবিরতির কারনে দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
২৭ ডিসেম্বর রোববার থেকে শুরু হওয়া চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবারও অব্যহত রয়েছে। টানা তিনদিন কাজ বন্ধ করে কর্মসুচি পালন করছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ফলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হওয়ায় চরম দূভোর্গ দেখা দিয়েছে হাসপাতালগুলোতে।

মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বহিঃবিভাগে কোনো চিকিৎসক আসেনি। সেবা না পেয়ে অনেক মূমূর্ষ রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। এতে অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে হাসপাতালটিতে। তবে হামলাকারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। চিকিৎসক নেতারা ৪ দফা দাবি আদায়ে আরও কঠোর কর্মসুচি গ্রহণের আলটিমেটাম দিয়েছেন।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনায় কর্মবিরতি চলছে। এই নিয়ে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। চিকিৎসকদের ৪দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু এবং রোগীর স্বজনদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় বাসিন্দা শামীম আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর বিজু আহমেদ,এডভোকেট বাবর আলী খান, বিষ্ণ চন্দ্র মন্ডল ও পারুল বেগমসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ডাক্তারদের অবহেলায় আমাদের রোগী করিমন নেছার মৃত্যুর পর ইন্টার্ন ডাক্তাররা নগ্ন হামলা করেছে রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীর উপর। আবার হামলার অভিযোগ করে রোগীর স্বজনদের নামে মিথ্যা মামলা দায়েরও করেছে। অবিলম্বে দোষী ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি, সাইদুর ও শহিদুরের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসুচির আলটিমেটাম দিয়েছেন বক্তারা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD