বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
জামালপুরে নাতির কুকর্মের দায়ে ৮৫ বছর বৃদ্ধের সাথে ১১বছরের শিশুকন্যার বিয়ে

জামালপুরে নাতির কুকর্মের দায়ে ৮৫ বছর বৃদ্ধের সাথে ১১বছরের শিশুকন্যার বিয়ে

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সালিশি বৈঠকের নামে এক লম্পট নাতির কুকর্মের দায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দাদার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মাতবররা। নাতির অনৈতিক গোপন সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত ঘটানোর ফল ভোগ করছেন ৭ সন্তানের পিতা ৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধ । শালিসীর নামে শাস্তি হিসেবে ১১ বছরের শিশুছাত্রীর সঙ্গে বৃদ্ধের বিয়ে দেন মাতবররা।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আমখাওয়া ইউনিয়নের বয়ড়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , স্থানীয় একটি মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর (১১) সঙ্গে সুরমান আলীর বখাটে ছেলে শাহিনের (১৮) শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে ওই শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে চালাকি করে কবিরাজি চিকিৎসায় গর্ভপাতও ঘটানো হয়।
বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতবররা সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে নাতির কুকর্মের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় বৃদ্ধ দাদার ওপর। শেষে বৃদ্ধের সঙ্গেই ওই শিশুছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়।
গত বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধ মহির উদ্দিন কথা বলার সময় লক্ষ্য করা যায় তিনি ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না, চোখেও ঝাপসা দেখেন। তিনি সাত সন্তানের পিতা। দুই স্ত্রী মারা গেছেন। তৃতীয় বিয়েটি করেছেন ২৭ বছর আগে। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করা হয় চতুর্থ বিয়ে কী কারণে করলেন?
বৃদ্ধ মহির উদ্দিন বলেন, ‘আমার একটা দোষ বর্তাইয়া বিয়া করাইছে গফুর মাস্টার, কদ্দুছ মাস্টার, নাদু মেম্বারসহ কয়েকজন। আসলে আমি নির্দোষ। ’
এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধের মেয়ে আবেদা খাতুন বলেন, ‘মেয়েটিকে বড়ি খাইয়ে গর্ভপাত করা হয়েছে। ’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক মাদ্রাসাশিক্ষক বলেন, ‘ছেলের ঘরের নাতি দোষ করেছে, এর দায়ভার জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ওই বৃদ্ধের ওপর চাপিয়ে শিশুটিকে বিয়ে দেয়া হয়। ’
চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সদস্য সংবাদ মাধ্যমকে জয়নাল আবেদীন নাদু বলেন, ‘মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ করা হয়। সালিশে অনৈতিক কাজ করায় বৃদ্ধকে ১০ দোররা এবং শাহিনকে ১০টি দোররা মেরে শরীয়ত মতে বিয়ে হয়। তবে তার ছেলে ঘরের নাতি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এ ঘটনার জন্য বৃদ্ধই দায়ী। ’
চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ বলেন, ‘এটা আশ্চর্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’
দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএম মইনুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD