বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
ঝালকাঠিতে জামিনের ২৯ দিনেও মুক্তি পায়নি কিশোর

ঝালকাঠিতে জামিনের ২৯ দিনেও মুক্তি পায়নি কিশোর

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

জামিনের ২৯ দিন অতিবাহিত হলেও মুক্তি পায়নি কিশোর ঝালকাঠির নলছিটিতে ভাঙারির দোকানে প্রবেশ করে ঘুমন্ত কহিনুর বেগমকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তার চিৎকারে ধাওয়া করে আরিফুল ইসলাম (১৬) নামে এক কিশোরকে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। ওই নারীর ওপর হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়।

অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে পাঠানো হয় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে জামিনও হয় তার। কিন্তু বৈধ কোনো অভিভাবকের সন্ধান না পাওয়ায় জামিন হলেও মুক্তি পায়নি ওই কিশোর।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ৮ মার্চ ওই নারীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন ৯ মার্চ কহিনুর বেগমের স্বামী ভাঙারি ব্যবসায়ী মোঃ বেল্লাল সরদার বাদী হয়ে ওই কিশোরের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা করেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।পরে ওই কিশোরের সঠিক ঠিকানা ও অভিভাবকের সন্ধান না পাওয়ায় সরকারিভাবে আইনগত সহায়তা পেতে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে আবেদন করা হয়।

এদিকে, কিশোর আরিফুল অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাকে পাঠানো হয় যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে। লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী মানিক আচার্য্য মামলাটি পরিচালনা করেন। ৮ আগস্টের জামিন শুনানিতে তার জামিন মঞ্জুর করেন নারী ও শিশু আদালতের বিচারক এমএ হামিদ। জামিনদার না থাকায় প্যানেল আইনজীবীর সহকারী রনিকে জামিনদার করে আদালতে জামিন নামা জমা দেন অ্যাডভোকেট মানিক আচার্য্য। ঝালকাঠি আদালত থেকে জামিন নামা কারাগারে প্রেরণ করলে কারাকর্তৃপক্ষ যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়।জামিন হওয়ার ২৯ দিন অতিবাহিত হলেও বৈধ কোন অভিভাবক না পাওয়ায় সেখান থেকে বের হতে পারছে না আরিফুল।

ঝালকাঠি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মোঃ শিবলী নোমান খান জানান,নলছিটির একটি মামলায় আরিফুল ইসলাম নামে এক কিশোরকে কারাগারে পাঠানো হলেও যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে হস্তান্তর করে কারা কর্তৃপক্ষ।কেন্দ্রের (বালক) সহকারী পরিচালক মোঃজাকির হোসেন এক পত্রের মাধ্যমে লিগ্যাল এইড সহায়তার আবেদন করেন। তাকে আইনি সহায়তা দিয়ে জামিন করানো হয়।কিন্তু তার সঠিক স্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত হতে না পারায় বৈধ অভিভাবক পাওয়া যাচ্ছে না।

ঝালকাঠির কারাধ্যক্ষ জান্নাত উল ফরহাদ জানান, আরিফুল ইসলাম ভবঘুরে প্রকৃতির হওয়ায় তার কোনো সঠিক ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার দেওয়া তথ্যে সে ভোলা লালমোহন উপজেলার পাঙ্গাইস্যা গ্রামের মৃত মোঃ সোহেলের ছেলে বলে জানায়। আমাদের কাছে জামিন নামা চলে আসলে আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি।

ঝালকাঠি সমাজ সেবা প্রবেশন কর্মকর্তা সানজিদা আয়েশা জানান,যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বন্দি কিশোর আরিফুল ইসলামের জামিন হয়েছে গত ৮ আগস্ট। জামিনের ২৯ দিন অতিবাহিত হলেও বৈধ অভিভাবক না পাওয়ায় বের হতে পারছে না। নিয়মানুযায়ী তাকে মুক্তি দিয়ে বৈধ অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করতে হয়।আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি সঠিক ঠিকানা বের করে বৈধ অভিভাবকের হাতে হস্তান্তর করতে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD