নিউজ ডেস্ক।।
ছবি: সংগৃহীত
সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নদীর নাব্যতা ধরে রাখতে সরকার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সেতু না করে টানেল নির্মাণ করার পরিকল্পনা করছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ- ইইবি-তে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা শেখ হাসিনার উন্নয়নের সংগ্রাম নিরবিচ্ছিন্ন স্বপ্নের মহাসড়কে খুলনা থেকে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সেখানে আন্ডারপাস বা টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এখন থেকে সরকার সেতুর পরিবর্তে টানেলের দিকে নজর দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নদী বাঁচাতে হবে, তা না হলে শ্যামল বাংলাদেশ থাকবে না। এত ব্রিজ করার দরকার কি? পদ্মা সেতু একটা হয়েছে, এখন দাবি উঠেছে দৌলতদিয়া আরেকটি সেতু। দুটি সেতু হলে নদীর নাব্যতা কি হবে? এটা কিন্তু আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছি।
‘কাজেই সেতু না করে আমরা আন্ডারপাস করার চিন্তা ভাবনা করছি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া আমরা টানেল নির্মাণের চিন্তা ভাবনা করছি। জামালপুরে দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় আমাদের টানেলের দিকে নজর দিতে হবে। চট্টগ্রামে কর্নফুলী নদীর তলে যে টানেল হচ্ছে সেটাও ৭৫ ভাগ কাজ হয়ে গেছে’, বলেন তিনি।
নদীগুলো শুধু সেতু নির্মাণ করে এমনিতেই নাব্যতা নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সেতু যত নির্মাণ করবেন নাব্যতা হারাবে। অনেক সেতু উদ্বোধন হয়েছে, আরও প্রায় ৫০টির মতো সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা মাওয়ার মতো এক্সপ্রেস ওয়ে ইউরোপের অনেক দেশেও নাই। প্রতিবেশি দেশ ভারতেও নেই। গাজীপুর থেকে টাঙ্গাইল, এলেঙ্গা থেকে রংপুর, রংপুর থেকে যাবে পঞ্চগড় একটা আরেকটা বুড়িমাড়ী এগুলো আমাদের পরিকল্পনা। এর কাজ চলছে। খুলনা-মোংলা-বাগেরহাট এগুলোও আমাদের কাজেরই অংশ। এখানে নতুন কোনো পরিকল্পর প্রয়োজন নেই। এগুলো বাইরে ঢাকা সিলেট চার লেনের কাজ যত দ্রুত শেষ করা যায়। আরেকটা হচ্ছে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার চার লেন। সেটাও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ওটাও দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ফরিদপুর থেকে বরিশাল ফোর লেন করার জন্য এডিবির সাথে কথা হয়েছে।
আগামী বছর এদেশের সড়ক যোগাযোগের চেহারা পাল্টে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, মেট্রোরেল, ম্যাস র্যাপিট ট্রানজিট, পদ্মা সেতু সব উদ্বোধন হবে। শেখ হাসিনা তার ভিশন বাস্তবায়নে সব পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, মাস্টারপ্লান করেছেন এবং কাজ যখন যেটা করার দরকার সেটি করছেন। আমাদের ভিশন বিএনপির ভিশন নয়।
Leave a Reply