আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম
১৯ অক্টোবর ২০১৯ইং তারিখে ভূমিদস্যু ও তার সহযোগী কর্তৃক বল প্রয়োগ করে বাড়ী হতে বের করে দিয়ে ভাংচুর লুটপাট করে, আমাকে(বাড়ীর মালিক) মারধর করে বিতারিত করলে ২১অক্টৌবর ২০১৯ইং তারিখে প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা চাইলেও কোন কাজ না হওয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আমরণ অনশণ করলে জেলা প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন তদন্তকরে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন, অথচ প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই।এমন ভাবেই মনের আকুতি জানান নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন আমি কোন প্রকার বসতবাড়ী ও তার সংলগ্ন কোন প্রকার জমি বিক্রি করি নাই। তা সত্বেও প্রভাবশালী ক্ষমতাশীন রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে ভূমিদস্যূদের অত্যাচারে প্রাণনাশের ভয়ে নিজ বাড়ী হতে বিতারিত হয়ে শীত,বর্ষায় অন্যের বাড়ী, রাস্তা ও রেল ষ্টেশনে স্বপরিবারে রাত্রী যাপনে বাধ্য হচ্ছি। কোথাও বিচার না পেয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে গৃহহীনের ঘরের ব্যবস্থা করছেন, সেই সময় নিজ গৃহ হতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছি।
ডিপি নং ৪৮১, বিআরএস দাগ -১৩৪, হাল দাগ -৫১৫ জমির পরিমান ১৫.৩৮ শতাংশ ভুমির দলিল নং ৭৪৪ সাফ কওলা দলিলে জনৈকা হাজিরা বিবি ও আমেনা বিবি তীর্থচন্দা মৌজার ২০ শতাংশ জমি শরিয়তুল্লহ ও নুরুল হক বরাবর বিক্রয় করলে বিক্রিত জমির ১০ শতাংশ নুরুল হক (ওরফে ইসলাম) মালিক হন, বিআরএস দাগ নং ১৩৪ এ ভুল বসত নবাব আলী নামে রেকর্ড ভূক্ত হলে বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল আদালত, জামালপুরে মোকদ্দমা নং ৫৯১৭/২০১৪ ল্যান্ড সার্ভে চলমান রয়েছে, অত্র দাগে ২৫ শতাংশের কাতে ৫ শতাংশ ২০০৫ সালে ওয়ারিশ সুত্রে মোঃ নূরুল হক ওরফে ইসলাম তার নামে খারিজও রয়েছে। অত্র জমিতে তিনি আনুমানিক ১৮ বছর যাবৎ বসতবাড়ী নির্মান করে বসত করে আসছেন । তিনি আরও বলেন গত প্রায় ১০ বছর যাবৎ আধাপাকা টিনসেড বিল্ডিং নির্মান করি। এই জমি আমি কোন প্রকান বিক্রয় করি নাই, কিন্তু তার জমি বাড়ি ভিটায় বারবার ক্ষমতাবানদের ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যুরা বারবার ভিটাবাড়ি দখল করতে আসছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সমস্যা সমাধানে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply