বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবা ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের নতুন ভর্তির মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আল্লামা মরহুম গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর দোয়া মাহফিল সম্পন্ন কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস
পার্কে পার্কে জলপাই বিক্রি করে সংসার চালায় মিষ্টি মেয়ে পাখি

পার্কে পার্কে জলপাই বিক্রি করে সংসার চালায় মিষ্টি মেয়ে পাখি

রাকিব মাহমুদ,শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জ শহরের অবস্থিত শেখ রাসেল শিশুপার্কে ঢুকলেই চোখে পরবে একটি শিশু মেয়েকে বাক্স হাতে জলপাই বিক্রি করতে।মেয়েটার নাম পাখি। এই জলপাই বিক্রি করার টাকা দিয়েই  চলে তার সংসার।

করোনার এই পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।কিন্ত থেমে নেই মানুষের বেচাঁ থাকার লড়াই।বেচেঁ থাকার এই লড়াইয়ের তেমনই এক শিশু যোদ্ধা পাখি।মেয়েটার বয়স ৭ কিংবা ৮ হবে।সিরাজগঞ্জের শেখ রাসেল পার্কে জলপাই বিক্রি করে।শেখ রাসেল পার্কে গেলেই খুব সহজেই চোখে পড়বে পাখি নামের এই মিষ্টি মেয়েকে।হয়তোবা ওর বয়সী মেয়েরা এখন খেলাধুলা করে। কিন্ত পাখি এই অল্প বয়সেই নিজের কাধে তুলে নিয়েছে তার সংসার।এ যেনো অন্যরকম এক বেচেঁ থাকার খেলা।যে বয়সে পাখির  খেলার কথা তার সমবয়সী বন্ধুদের সাথে খেলনা নিয়ে সে বয়সে পাখির সঙ্গী হয় পার্কে ঘুরতে আসা ভাইয়া আপুরা। আর  খেলনা হিসেবে তার হাতে থাকে তার জলপাইয়ের বাক্স টা।

মেয়েটার কাছে তার অল্প বয়সে এই কাজ করার কারণ জানতে চাইলে সে বলে, ”ভাইয়া আমরা দুই বোন।আমি বড়।আমার বাবা মারা গেছে। মা ভালভাবে কাজ করতে পারেনা।তাই আমার এই জলপাই বিক্রি করে যে টাকা হয় তাই দিয়ে সংসার  চালাই।”পড়ালেখা করে কিনা জানতে চাইলে বলে,’হ্যা ভাইয়া আমি ক্লাস ওয়ানে পড়ি।এখন স্কুল ছুটি তাই সারাদিন জলপাই বিক্রি করে রাতে পড়তে বসি।স্কুল খোলা থাকলে সারাদিন বিক্রি করতে পারিনা তাই একটু কষ্ট হয় তবুও আমি পড়ালেখা করি।পড়ালেখা করে চাকরি করবো তখন আর এসব বিক্রি করতে হবেনা।এ কাজে খুব কষ্ট ভাইয়া।’এসব বলতে বলতে মেয়েটা হাসতে ছিল কিন্ত তার হাসির পিছনে যে কতটা কষ্ট লুকানো ছিল তা শত চেষ্টা করেও যেনো লুকাতে পারছিলোনা।মেয়েটার ছবি ওঠাইতে গেলে আত্মসন্মান বোধে বলে ওঠে ভাইয়া ফেসবুকে দিয়েননা।বিদায় নেয়ার সময় মেয়েটা বলছিলো ভাইয়া আবার আসবেন, এ যেনো অচেনা এক অতিথির নিমন্ত্রণ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD