শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
প্রত্যাহার হয়নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি : ভোগান্তিতে জামালপুরের রোগী

প্রত্যাহার হয়নি চিকিৎসকদের কর্মবিরতি : ভোগান্তিতে জামালপুরের রোগী

আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গত শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর এক নারী রোগীর মৃত্যু হলে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে চিকিৎসকদের ওপর বহিরাগতদের হামলা ও হাসপাতালে ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল ২৭ ডিসেম্বর, রবিবার থেকে চিকিৎসার সেবা বন্ধ রয়েছে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এবং বিএমএ (বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) জেলা শাখার ডাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং জেলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখা থেকে বিরত রয়েছেন চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা কর্মবিরতি চলবে।
২৮ ডিসেম্বর সোমবারও জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এতে জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা সেবা নিতে এসে চিকিৎসা না নিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ফলে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। উল্লেখ্য ২৫ ডিসেম্বর জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামালপুর শহরের ইকবালপুর এলাকার করিমন (৬৪) নামের এক নারী মারা যান। অবহেলাজনিত কারণে এমন মৃত্যু হয়েছে—অভিযোগ তুলে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা চালায়। এতে কর্তব্যরত ডা. চিরঞ্জীব সরকারসহ চারজন ইন্টার্ন চিকিৎসক গুরুতর আহত হন।
এর জের ধরে ওই দিন হাসপাতাল এলাকায় বহিরাগত লোকজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকজন ইন্টার্নি চিকিৎসকদের আটক করে থানায় নিয়ে যান। পরে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাও কর্মবিরতি একটি কারণ বলে আন্দোলনরত চিকিৎসকগণের বেশ কিছু নেতৃবৃন্দদাবী করেছেন। এছাড়াও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সদরের ইউএইচএফপিও ডা. মো. লুৎফর রহমান হামলার দিন পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত হন। হামলার পরদিন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। এখন পর্যন্ত শহিদুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমান (৩৮) নামের দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।‌
ঘটনার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোখলেসুর রহমানকে প্রধান করে সাত সদস্যের প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জামালপুর জেলা প্রশাসন। এছাড়াও চলমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক ডা. মো. শাহ আলম গতকাল রবিবার দুপুরে জামালপুরে ঘটনাস্হলে পরিদর্শনে এসে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের সহকারী পরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD