ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ উপলক্ষে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আগামীকাল শনিবার বিকেল ৪টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বল্পোন্নত বা এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার কাতারে শামিল হচ্ছে বাংলাদেশ। এখন আর গরিব বা স্বল্পোন্নত নয়, বরং সেই জায়গায় উন্নয়নশীল দেশের এক নতুন মর্যাদা নিয়ে সারাবিশ্বে উচ্চারণ হবে বাংলাদেশের নাম। গত ২২-২৫ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে সংস্থাটির কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভা শেষে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদার স্বীকৃতির জন্য চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। এটি সিডিপির দ্বিতীয় দফা সুপারিশ। প্রথম দফায় ২০১৮ সালের মার্চে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার যোগ্য হিসেবে সিডিপির সুপারিশ লাভ করে।
এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রয়োজনীয় মানদণ্ড বাংলাদেশ পূরণ করতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে সিডিপির দ্বিতীয় দফার ওই বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের। এর ফলে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যে সাময়িক কিছু চ্যালেঞ্জ এলেও দীর্ঘমেয়াদে সুফল পাবে দেশ। তলাবিহীন ঝুঁড়ির তকমা কাটিয়ে এখন থেকে বাংলাদেশের মানুষ সম্মানী জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে সক্ষম হবেন।
এলডিসি থেকে বের হতে সিডিপির পরপর দুটি পর্যালোচনায় উত্তরণের স্বীকৃতি পেতে হয়। এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর আরো তিন বছর এলডিসি হিসেবে থাকে একটি দেশ। তারপর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয়। এ তিন বছরকে এলডিসি থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতির সময় ধরা হয়। তাই বাংলাদেশের ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ সম্পর্কিত এক্সপার্ট গ্রুপের সভায় সিডিপির কাছে এ উত্তরণকাল তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করার আহ্বান জানিয়েছে। তবে এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ), মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এবং বৃহৎ অংশীদারিত্ব বাণিজ্য চুক্তির (সিপা) মতো বড় বড় চুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
Leave a Reply