শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪১ অপরাহ্ন

প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন – এস.এম.মিজানুর রহমান

প্রয়াত জননেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের ৯তম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন – এস.এম.মিজানুর রহমান

মোঃ মহসিন মিয়া
শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি

শরীয়তপুর জেলার ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের আজ ৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী। প্রয়াত নেত্রা আব্দুর রাজ্জাকে ৯তম মৃত্যু বার্ষিকী গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম.মিজানুর রহমানের শ্রদ্ধা। এসময়ে গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ ২৩ শে ডিসেম্বর প্রয়াত নেত্রা আব্দুর রাজ্জাকে ৯ তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শরীয়তপুর জেলার ৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাকের আজ ৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী।
বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় সময় শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গোসাইরহাট থানা ইনচার্জ অফিসার মোল্যা সৈয়ব আালি, গোসাইরহাট উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ শাজাহান শিকদার, গোসাইরহাট উপজেলার আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক – এস এম মিজানুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধা দলের কমান্ডার, গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সহ সভাপতি, গোসাইরহাট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, গোসাইরহাট উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি, গোসাইরহাট উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান , বিভিন্ন দলের নেতা কর্মী।
স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক, জাতীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের দুই বারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর)। ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৯ বছর বয়সে মারা যান বর্ষীয়ান এ রাজনীতিক।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুর রাজ্জাক সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, শান্তি ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনে। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে প্রথম সারির সংগঠক ও নেতা। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯৬৬-৬৭ ও ১৯৬৭-৬৮ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬-এর নির্বাচনে দুটি করে আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ ও ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে আব্দুর রাজ্জাক পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আব্দুর রাজ্জাক ভারতের মেঘালয়ে মুজিব বাহিনীর সেক্টর কমান্ডার (মুজিব বাহিনীর ৪ সেক্টর কমান্ডারের একজন) ছিলেন।
মরহুম আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে পরিবার, দল এবং বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো– সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে তার কবরে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ও আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিকাল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আলোচনা সভা করা হবে।

বর্ণাঢ্য এ রাজনীতিবিদের জন্ম ১৯৪১ সালের ১ আগস্ট শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামে। তার বাবা ইমাম উদ্দিন এবং মা বেগম আকফাতুন্নেছা।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD