বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ‘রক্ত’কে ভয় পেতো আইনমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ‘রক্ত’কে ভয় পেতো আইনমন্ত্রী

নিডস নিউজ ডেক্সঃ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর ‘রক্ত’কে ভয় পেতো। এ ভয় থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরিবারের যেসব সদস্য ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশে ছিল তাদেরও হত্যা করা হয়ে ছিল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জানতেন তার পরিবারের একজন সদস্যও যদি বেঁচে থাকেন তাহলে তাদের নিস্তার নেই। এ কারণে তারা ১০ বছরের শেখ রাসেলকেও হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পেতো।

তাদের উদ্দেশ্যই ছিল বঙ্গবন্ধুকে নতুন প্রজন্ম থেকে মুছে ফেলতে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা পাকিস্তানের প্রদেশ অথবা অন্তত পাকিস্তানের মদদপুষ্ট একটি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ এ হত্যার পেছনে উদ্দেশ্যে ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধু একটা সংবিধান তৈরি করতে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান সময়েও তিনি এ সংবিধান নিয়ে দাবি তুলেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭২ সালেই আমাদের একটি সংবিধান। এভাবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়াই তারা রুখে দিতে ১৯৭৫ এ তাকে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা বাংলাদেশের শত্রু।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘খন্দকার মোশতাক’ এবং ‘জিয়াউর রহমান’। অন্যরা যারা ছিলেন তারা গুলি চালিয়েছেন মাত্র। মূল নকশাকারী মোশতাক ও জিয়া’।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যাদের এখনো বিচারের আওতায় আনা যায়নি সেই বিষয়ে একটি কমিশন গঠন করা হবে বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহবায়ক ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতিত্ব করেন। এতে সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সদস্য সৈয়দ রেজাউর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মো. নজীব উল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান থেকে তেলওয়াত ও ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারবর্গের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন অ্যাডভোকেট মো. ওজি উল্লাহ এবং গীতা থেকে পাঠ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD