বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

বিএনপি ও মির্জা ফখরুল খুন ও খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন ড.হাছান মাহমুদ

বিএনপি ও মির্জা ফখরুল খুন ও খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন ড.হাছান মাহমুদ

নিডস নিউজ ডেক্সঃ
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

সাংবাদিকরা এসময় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে নেমেছে’ এবং সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর চক্রান্ত চলছে’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডে জিয়ার জড়িত থাকাটি স্পষ্ট, ইতিহাস এর সাক্ষী।’

ড. হাছান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত সেটি আজকে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আপনারা জানেন, কর্নেল ফারুক-রশীদ বিবিসি’র সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছিল, তারা যখন এই ষড়যন্ত্র শুরু করে, তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল এবং জিয়া তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলে। জিয়ার বক্তব্যটা এমনই ছিল- আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার, আমি পর্দার অন্তরালে থাকবো, তোমরা এগিয়ে যাও। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন মাজেদ, যার দণ্ড কিছুদিন আগে কার্যকর করা হয়েছে, তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে জিয়াউর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে।’

জিয়াউর রহমানের কাছে কর্ণেল বেগের চিঠির কপি আপনারা হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন, আমার কাছেও আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন রণাঙ্গণে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তখন তার কাছে কর্ণেল বেগ চিঠি লিখেছিলেন যে- ‘তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী-পুত্রদের জন্য চিন্তা করিও না, তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য তুমি পুরস্কৃত হবে’। আমরা পরবর্তীতে দেখতে পেয়েছি সেই কর্ণেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিল।’

জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাকের প্রধান সহযোগী না হতো, তাহলে হত্যাকাণ্ডের পর কেন তিনি জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান বানাবেন? প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আরো প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের তিনি পুরস্কৃত করে বিদেশী মিশনে চাকুরী দিয়েছিল, ৭৯ সালের পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার না হয়। এসকল ঘটনা প্রবাহই তো সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত।

আজকে যখন ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা দিবালোকের মতোই স্পষ্ট হয়ে গেছে, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আর রিজভী আহমেদসহ বিএনপি আবোল তাবোল বকা শুরু করেছে। তাদের এই বক্তব্য হচ্ছে খুনি এবং খুনের পক্ষে। আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাব, তারা যেন খুনি এবং খুনের পক্ষে অবস্থান না নেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD