বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে কসবায় রাতের আঁধারে চলছিল পাহাড় কাটা
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ছবি পিআইডি

আজ বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।

অব্যাহত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন, কায়িক পরিশ্রমের অভাবসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই ডায়াবেটিস এখন উদ্বেগের অন্যতম প্রধান কারণ। ডায়াবেটিস সারা জীবনের রোগ। একবার হলে তা আজীবন বয়ে বেড়াতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারনে হৃদপিণ্ড, কিডনি ও চোখ ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নার্সরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। ডায়াবেটিস যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে একজন ডায়াবেটিক রোগীকে নিয়মিত নিজে নিজে রক্ত পরীক্ষা ও ইনসুলিন দেয়া ছাড়াও ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় জানা থাকা আবশ্যক। নার্সরা ডায়াবেটিক রোগীদের এসব বিষয়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্যশিক্ষা দিতে পারলে যে কোনো ডায়াবেটিক রোগীর পক্ষেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়ে উঠবে। এ কারণে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস এর এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডায়াবেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’ যথাযথ হয়েছে বলে আমি মনে করি।

ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পেতে হলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতার কাজ শুরু করতে হবে পরিবারের মধ্য থেকেই। বিশেষ করে ফাস্টফুড, কোমল পানীয়র মতো ক্যালরিসমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণে সংযমী হওয়া আবশ্যক। একইসাথে নিয়মিত খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সুষম ও পরিমিত আহার ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরি। আমি ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে চিকিৎসক, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি ও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

আমি বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা।

খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:

“প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানাই। বাংলাদেশের উদ্যোগের কারণেই দিবসটির ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর মর্যাদা লাভ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের।

‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’-এর এবারের প্রতিপাদ্য-‘ডায়াবেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই’ সময়োচিত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এ প্রতিপাদ্য থেকে এটা স্পষ্ট যে এবার আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন ডায়াবেটিস-সেবায় চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেছে।

আমি মনে করি, ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে আনা ও উপযুক্ত ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। কারণ, ডায়াবেটিস সু্নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপরই একজন ডায়াবেটিক রোগীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন নির্ভরশীল। আর এ কারণে নার্সরা যদি ডায়াবেটিক রোগীকে রক্ত পরীক্ষা, ইনসুলিন দেয়া ছাড়াও অন্যান্য বিষয়গুলো শিখিয়ে দিতে পারেন তবে ডায়াবেটিস-সেবায় বিশাল বদল আসতে পারে। এর জন্য নার্সদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্যসেবায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়েই জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে আসছে। আমরা জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নেও আমাদের সরকার কাজ করছে। সারাদেশে সকল হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এরই মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিস্তৃত করতে দেশব্যাপী সকল উপজেলায় এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমাদের সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে নানা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাই।

আমি ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচীর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD