সেই নাম না-জানা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি লোকটির গল্প দিয়ে শুরু করি যে কিনা রাতের বেলায় হারিকেন হাতে পথ চলছিল। অন্ধের হাতে হারিকেন দেখে অন্য এক পথচারী ঠাট্টা করাতে অন্ধ উত্তর দিয়েছিল: ‘আমি অন্ধ কিন্তু সবাইতো আর আমার মতো অন্ধ নন। তারা যেন আমার গায়ের উপর এসে না পড়েন সে জন্যেই হারিকেন হাতে নিয়েছি।’ বাতি না থাকলে অন্ধকারে অন্ধ আর চক্ষুষ্মানের মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। একজন দৃষ্টিহীন, অন্যজনের দৃষ্টি আলোর অভাবে বিকল। আবার চোখ থাকলেই যে দিনের আলোতে সঠিক রাস্তায় যেতে পারবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ধরুন, আপনি মনের ভুলে অন্য রাস্তায় চলে গেলেন বা এমনও হতে পারে যে রাস্তাটা আপনি আদৌ চেনেনই না। হয়তো এমন কাউকে পথ দেখিয়ে দিতে বললেন যে নিজেই রাস্তাটা চেনে না। অথবা দুর্ভাগ্যবশত পথের হদিশ জানতে চাইলেন এমন কোন দুষ্ট লোকের কাছে যে কিনা ইচ্ছে করে আপনাকে ভুল রাস্তা দেখিয়ে দিল আপনার পথ হারানো দেখে মজা পাবার জন্যে।
মানুষ মাত্রেরই সীমাবদ্ধতা আছে শারিরীক, মানসিক, অর্থনৈতিক… হাজার রকম সীমাবদ্ধতা। সুতরাং মানুষ পথ হারায়। পুরো জাতিও পথ হারাতে পারে। পথ না হারানোর উপায় কি? নিজেকে যদি অন্ধ বলে স্থির করেন তবে প্রথমে নিজের অন্ধত্ব দূর করার উদ্যোগ নিন। যদি চক্ষুষ্মান হন হবে রাতের বেলায় টর্চ বা হারিকেন হাতে নিন। দিনে বা রাতে যদি পথ না চেনেন, তবে উপযুক্ত ব্যক্তিকে জিগ্যেস করুন,,,,,,
(শিশিরের ব্লগ থেকে কপি)
Leave a Reply