কলকাতা প্রতিনিধি, রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়।।
পুজোর আগে রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে একাধিক অনুদানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির সাথে বৈঠকে তিনি এই অনুদানের কথা ঘোষণা করেন। এদিন রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আশা কর্মীদের বেতন ১০০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার বেতন বৃদ্ধি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন‚ “সিভিক ভলেন্টিয়াররা প্রথমে তিন হাজার টাকা করে পেতেন৷ পরে তা বাড়িয়ে ৮ হাজার করা হয়৷ এবার আরও এক হাজার টাকা বেতন বাড়ানো হল৷” ফলে রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার দের বেতন বেড়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার টাকা। একই সঙ্গে রাজ্যের আশা কর্মীদের সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন‚ “করোনা অতিমারির মধ্যেও অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করেছেন৷ তাঁদের বেতনও ১০০০ টাকা করে বাড়ছে৷” এই ঘোষণার ফলে স্বভাবতই হাসি ফুটেছে রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার ও আশা কর্মীদের মুখে।
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রায় ৮১ হাজার হকারদের পুজোর আগে ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। লকডাউন এর জেরে রাজ্যের হকার ভাইদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বিশেষত যারা ট্রেনে হকারি করতেন। তাদের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন‚ “হকারদের আর্থিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে অনেকে ঠিকমতো খাবারও জোগাড় করতে পারছেন না৷ হকারদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে৷ প্রায় ৮১ হাজার হকারকে অক্টোবর মাসে পুজো উপলক্ষে ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে রাজ্য৷” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এই টাকা দিয়ে তাঁরা অন্তত নিজেদের সন্তানদের পুজোয় একটা নতুন জামা কিনে দিতে পারবেন৷
করোনা আবহে শারদোৎসবে হকার ভাইদের
২০০০টাকা কোরে সহায়তা করবে রাজ্য সরকার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী @BanglarGorboMB @MamataOfficial pic.twitter.com/TsZMbmYocU— Nirmal Ghosh MLA (@NirmalGhoshMla) September 24, 2020
কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সিভিক ভলেন্টিয়ার‚ আশা কর্মী ও আইসিডিএস কর্মীদের অবসরকালে তিন লক্ষ টাকা করে অবসর ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এবার তিনি এদের বেতন বৃদ্ধির কথাও ঘোষণা করলেন। এই করোনা আবহে রাজ্য সরকারের তরফে প্রাপ্য অর্থ ঠিকঠাক না মেটানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যের কোষাগার প্রায় ফাঁকা বলে অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের শাসকদলের একাধিক ব্যক্তিত্ব। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন‚ “আমাদের টাকা পয়সা নেই। ধার শোধ করতেই সব টাকা চলে যায়। তবু আমরা চেষ্টা করছি। শুধু জ্ঞান দিলেই হয় না‚ জ্ঞানের সাথে ত্রাণও দিতে হয়।”
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী গতকাল রাজ্যের পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুৎ খরচের ৫০% রাজ্য সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলির অগ্নিনির্বাপণ এর কর মুকুব করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্যের তরফে
Leave a Reply