ছবি: সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ
করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে আগামী ১৫ জানুয়ারির পর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তবে পরিস্থিতি ভালো না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে এসব কথা জানান সরকারপ্রধান। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিতিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পাঠ কার্যক্রম যেন ঠিকমতো চলে সেজন্য আমরা করোনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের আনন্দটা পায় সেই চেষ্টা আমরা করেছি।’
করোনোর কারণে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে। ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার শ্রেণি ভাগ করে ১২ দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তুক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য তিনদিন করে সময় দেয়া হবে। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে সপ্তাহে তিনদিন করে মোট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর পাঠ্যপুস্তক ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১ টি বই, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ, ৯৭ হাজার ৩৭৪ টি। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী) শিশুদের জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বিশেষ ভাষায় বই বিতরণ করা হবে।
Leave a Reply