বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
কসবায় সবুজ সংঘের শিক্ষাবৃত্তি ও মানবিক সহায়তা প্রদান বাংলাদেশের জনগণ কারও দাদাগিরি একদম পছন্দ করে না: গোলাম পরওয়ার ভারতের গণমাধ্যমগুলো যে ভূমিকা নিয়েছে তা দুদেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় সহায়ক নয় -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কসবা প্রেসক্লাব কার্যালয়ের জানালার গ্রীল ভেঙে দিয়েছে দুবৃত্তরা, প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি সাংবাদিকদের ইমাম প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ১৪০ শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন সবক গ্রহণ কসবায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত-ড. ইউনূস আজ আল্লামা গোলাম সারোয়ার সাঈদী (র) এর ৫ম ওফাত দিবস কসবায় ১০ হাজার ৬শ ৫০জন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ শিশু মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় ঝালকাঠিতে মাধ্যমিকের ৪৬ শতাংশই বই পায়নি

শিক্ষার্থীরা অপেক্ষায় ঝালকাঠিতে মাধ্যমিকের ৪৬ শতাংশই বই পায়নি

মো. আমির হোসেন, ঝালকাঠিঃ-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারে ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম দিনে নতুন বই হাতে নিয়ে ঘ্রাণে উৎসবে মেতে ওঠে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের চিত্র ভিন্ন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পহেলা জানুয়ারি থেকে বই উৎসব শুরু হয়েছে সারা দেশে। সরকার ঘোষণা করেছে ১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে সবাইকে বই দেয়া হবে। ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে পাওয়া বই বিতরণের তথ্যে ১২ জানুয়ারী অতিবাহিত হলেও জেলায় মাধ্যমিকের ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থীই এখনও বই পায়নি।
ঝালকাঠি জেলার মোট চারটি উপজেলার ৪শ ৪টি মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের ৫৪ হাজার ৭শ ৩১জন শিক্ষার্থীর বইয়ের চাহিদা ৭ লক্ষ ৯২ হাজার ২শ ৫৩টি। কিন্তু জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে জেলা শিক্ষা অফিস বই পেয়েছে ৫ লক্ষ ২ হাজার ৬শ ৮৪টি। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩৭ ভাগ কম। এরমধ্যে আবার বিতরণ করা হয়েছে ৪ লক্ষ ২৭ হাজার ২শ ৯৪টি বই। যা চাহিদার চেয়ে ৪৬ শতাংশ কম। যদিও শিক্ষা অফিস প্রাপ্ত বইয়ের ৮৫ ভাগ বিতরণ করেছে। হিসেব অনুযায়ী রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় প্রাপ্ত বইয়ের শতভাগ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় যথাক্রমে এই দুই উপজেলায়ও ৬৫ ভাগ ও ৫৫ ভাগ শিক্ষার্থীই বই পায়নি। চাহিদা অনুযায়ী ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায়ও যথাক্রমে শতকরা ৩১ ভাগ ও ৪৩ ভাগ শিক্ষার্থীই বই পায়নি।
জেলার মোট ২০ হাজার ৭শ ৭৬টি দাখিল মাদরাসায় বইয়ের চাহিদা ৩ লক্ষ ১০ হাজার ৫শ ৭৩টি হলেও শিক্ষা অফিস এনসিটিবি থেকে বই পেয়েছে মাত্র ২৭ হাজার ৩শ ৮০টি। প্রাপ্তির হার মাত্র ৮.৮২।
জেলায় ইবতেদায়ী (প্রাথমিক) মাদরাসা ২৬ হাজার ২শ ৪৫টি। এনসিটিবি কর্তৃক বরাদ্দ বই ১ লাখ ৯০ হাজার ৭শ ৪৬টি হলেও শিক্ষা অফিস বই পেয়েছে মাত্র ৫৯ হাজার ৩শ ৫৪টি। ঘাটতি ১লাখ ৩১ হাজার ৩শ ৯২টি। প্রাপ্তির হার মাত্র ৩১.১২ ভাগ। এরমধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ৫০ ভাগেরও কম।
এসএসসি ভোকেশনাল রয়েছে জেলায় ১ হাজার ৪শ ৮৪টি। ২৫ হাজার ৭১টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও জেলায় বই পেয়েছে ৪ হাজার ৯০টি। ঘাটতি প্রায় ২১ হাজার। দাখিল ভোকেশনাল শাখা রয়েছে ২৬০টি মাদরাসায়। ৩ হাজার ৬শ ৪০টি বইয়ের চাহিদা থাকলেও ঘাটতি ৩ হাজার ১শ ২০টি।
জানা যায়, ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে বই প্রস্তুত করতে সরকারকে অনেক সমস্যা মোকাবেলা করতে হয়েছে। এখনও তাই শতভাগ বই জেলায় পৌঁছানো যায়নি।
ঝালকাঠি জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান জানান, ‘এ বছরও সরকার সময়মতো বই দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে এবং আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শতভাগ বই দেয়া সম্পন্ন করতে’।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD