মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বিজ্ঞান চর্চা ও ভাবনা

সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বিজ্ঞান চর্চা ও ভাবনা

পাভেল আমান

বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হলো অজানাকে জানা। কোন বৈজ্ঞানিক কাজকর্মই হঠাৎ করে শুরু হয় না, বা হঠাৎ করে শেষ হয়ে যায় না। বিজ্ঞান হলো দীর্ঘ ধারাবাহিকতার ফসল। বিজ্ঞানের ধারাবাহিক গবেষণা ও আবিষ্কারের ফসল আমরা ভোগ করছি প্রতিনিয়ত। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার তুলনায় বিজ্ঞান গবেষকের সংখ্যা খুবই কম। কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোনভাবে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সুফল ভোগ করছে। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে দিনে দিনে করে তুলছে অনেক বেশি সুখকর এবং নিরাপদ। বিজ্ঞান ও মানব সভ্যতা একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে। একটি দেশের প্রগতি, সমৃদ্ধি, উত্তরণ, চেতনা ও সামগ্রিক বিকাশের মাপকাঠি বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের ভারতবর্ষের বাঙালিরাও তৎকালীন সময়ে বিজ্ঞান গবেষণায়, সেবায় ছিল একেবারে প্রথম সারির দিকে। কিছু ক্ষণজন্মা মানুষ একটি যুগে জন্মান এবং জ্ঞানের উৎকর্ষতা দিয়ে তারা সমাজকে আলোকিত করেন
বাংলায় বিজ্ঞান চেতনার ধারা বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু, প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, শুরু করেছিলেন তার যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু।”যারা বলেন যে, বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা সম্ভব নয়,তারা হয় বাংলা জানেন না, নয়তো বিজ্ঞান জানেন না”। আগামী প্রজন্মের উদ্দেশে এই চিরস্মরণীয় উক্তিটি যিনি করেছিলেন, তিনি বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু। বাঙালি জাতি তাঁকে নিয়ে গর্বিত। বিশ্ব বিজ্ঞানসভায় বাঙালি জাতি যে একান্তই বহিরাগত, অযোগ্য ও অপাঙ্ক্তেয় নয়, বরং মর্যাদার আসন লাভ করতেও সক্ষম, তা প্রমাণ করেছেন যে কজন বিজ্ঞানী, সত্যেন বোস তাঁদের প্রধান একজন। তাঁর নাম যুক্ত হয়ে পড়েছে বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের সঙ্গে তাঁর আবিষ্কৃত কোয়ান্টাম সংখ্যায়নের জন্য। তবে আলবার্ট আইনস্টাইন আমাদের কাছে যতটা পরিচিত, সত্যেন্দ্রনাথ বসু ততটা নন। কারণ প্রচার মাধ্যমে আইনস্টাইন সুযোগ পেয়েছেন সত্যেন বসুর চেয়ে বেশি। তাছাড়া স্বদেশী বিজ্ঞান সাধকের প্রতি আমাদের উৎসাহ বরাবরই কম। এ আমাদেরই দীনতা। সত্যেন বসু ছিলেন মনে প্রানে প্রচন্ড বাঙালী। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চ্চার ক্ষেত্রে তার অমূল্য অবদান রয়েছে।
১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পয়লা জানুয়ারি তিনি জন্মগ্রহণ করেন কলকাতার গোয়াবাগান অঞ্চলের ২২ নম্বর ঈশ্বর মিত্র লেনে। তার পিতার নাম সুরেন্দ্রনাথ বসু, তিনি ছিলেন পূর্ব ভারতীয় রেলওয়ে হিসাব রক্ষক আর তাঁর মায়ের নাম আমোদিনী দেবী, তিনি ছিলেন আলিপুরের বিখ্যাত মতিলাল রায়চৌধুরীর কন্যা। ছোট থেকেই মেধাবী ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। শিক্ষা জীবন শুরু হয় নিউ ইন্ডিয়ান স্কুলে, এরপর তিনি ভর্তি হন হিন্দু স্কুলে, ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পঞ্চম স্থানাধিকারী হন, তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯ বছর বয়সে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে, দু’বছর পর ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে মিশ্র গণিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।স্কুল জীবনে তিনি ১০০ তে ১১০ পেয়েছিলেন। এই ঘটনায় সকলেই হতবাক হয়ে গেছিল আসলে পরীক্ষার খাতায় প্রত্যেকটি অংক সঠিকভাবে সমাধান করার পাশাপাশি তিনি জ্যামিতির সমাধান গুলি একাধিক পদ্ধতিতে করার অংক শিক্ষক উপেন্দ্রনাথ বক্সী তার মেধা অনুভব করেন এবং তাকে ১০০ তে ১১০ নম্বর দেন। শিক্ষা জীবনে তিনি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের মতো মহান ব্যক্তিদের সান্নিধ্য লাভ করেন।ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সম্পৃক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন কলকাতা, ঢাকা ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রফুল্লচন্দ্র রায়, মাদাম কুরী মতো মণীষী। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী এই মানুষটি৷বহুমুখী প্রতিভাধর সত্যেন্দ্রনাথ ব্যক্তিজীবনে নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মণীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তাঁর আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। অন্নদাশঙ্কর রায় তাঁর জাপানে ভ্রমণরচনা ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত তাঁর অর্কেস্ট্রা কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।সত্যেন্দ্রনাথ বসু আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে যৌথভাবে বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, কোয়ান্টাম স্ট্যাটিসটিক্সের উদ্ভাবক এবং বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ সত্যেন্দ্রনাথ বসু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় তত্ত্বীয় পদার্থ বিজ্ঞান ও এক্সরে ক্রিস্টালোগ্রাফির ওপর গবেষণা কর্মের সূচনা করেন, যা তাঁকে পরবর্তীতে বিশ্বজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। ১৯২৪ সালে তাঁর প্লাস ল অ্যান্ড দি লাইট কোয়ান্টাম হাইপোসিস প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় যেটি বিজ্ঞানী আইনস্টাইন পড়ে চমৎকৃত হন। আইনস্টাইন সত্যেন বসুর মূল গবেষণাপত্রটি ইংরেজি থেকে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন ১৯২৪ সালে এবং প্রকাশের সময় সত্যেন বসুর সাথে নিজের নামটাও যোগ করে দিয়েছিলেন। প্রকাশিত প্রবন্ধটি বোস-আইনস্টাইন তত্ত্ব নামে সারাবিশ্বে সমাদৃত হয়। তাঁর নামানুসারে পরমাণুর একধরণের কণিকার নাম রাখা হয়েছে বোসন কণা। পদার্থবিজ্ঞানে ইতিহাসে বোসের নাম বোসন কণা হিসেবে চিরস্থায়ী আসন নেয়। তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয়ে সত্যেন বসুর অবদান আইনস্টাইনের অবদানের চেয়ে বেশি। বোস-আইনস্টাইন তত্ত্বের আলোচনায় সত্যেন বসুর নামের ঠিক পরেই আইনস্টাইনের নাম উচ্চারিত হয়। কিন্তু বিশ্ব-বিখ্যাত এই তত্ত্বের প্রায় পুরো কৃতিত্বই সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

আসলে বিজ্ঞানের মহাকাশে চিরস্থায়ী এক নক্ষত্রের নাম সত্যেন্দ্রনাথ বসু।বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট হল পদার্থের একটি বিশেষ অবস্থা — বোস গ্যাসকে (ফোটন গ্যাস) যখন পরমশূন্য তাপমাত্রার (মাইনাস ২৭৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। অর্থাৎ ০ কেলভিন। যেখানে হিমাঙ্ক ০ সেন্টিগ্রেড) খুব কাছাকাছি তাপমাত্রায় ঠান্ডা করা হয় তখন বহু সংখ্যক ফোটনকণা সর্বনিম্ন কোয়ান্টাম স্তরটি দখল করে। তাপমাত্রা যত কমে পরমাণুর গতিশক্তিও তত কমে, ধীরে ধীরে স্থির হয়ে যায় এবং সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে চলে আসে। বোস গ্যাস হল, চিরায়ত আদর্শ গ্যাসের কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সংস্করণ। এটি বোসন কণা দ্বারা গঠিত, যাদের পূর্ণসংখ্যক ঘূর্ণনমান আছে এবং এরা বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান মেনে চলে। ১৯৯৫ সালে এরিক কর্নলে, কার্ল ওয়াইমেন এবং উলফ গেঙ্গ কেটারলি পরীক্ষামূলকভাবে বিইসির অস্তিত্ব প্রমাণ করেন এবং এরজন্য ২০০১ সালে তাঁরা পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
পদার্থের পাঁচটি অবস্থার (কঠিন, তরল, গ্যাস, প্লাজমা ও বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট) মধ্যে বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেট সবচেয়ে রহস্যময়। পরমশূন্য তাপমাত্রার কাছে পৌঁছনোর ফলে বিজ্ঞানীদের কাছে এক নতুন রোমাঞ্চকর, বিস্ময়ে ভরা জগৎ খুলে গিয়েছে — কোয়ান্টাম। হাজার হাজার বিজ্ঞানী সেই জগৎকে বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছেন। যা পাল্টে দিতে পারে মানব সভ্যতাকে।

এই মানুষটি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই শুধু ছিলেন না, সারাজীবন তিনি এই ধারাটিকে লালন করেছেন। বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের উদ্দেশ্যে ‘বিজ্ঞান পরিচয়’ নামে একটি পত্রিকাও তিনি প্রকাশ করতেন। তাঁর নেতৃত্বেই ১৯৪৮ সালে কলকাতায় ‘বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৬৩ সালে ‘জ্ঞান ও বিজ্ঞান’ পত্রিকাতে কেবলমাত্র মৌলিক গবেষণা নিবন্ধ নিয়ে ‘রাজশেখর বসু সংখ্যা’ প্রকাশ করেন। তিনি দেখান যে, বাংলা ভাষাতেও বিজ্ঞানের মৌলিক নিবন্ধ রচনা করা সম্ভব। বিজ্ঞানসাধক এই মানুষটিকে নিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ নিজেও বলেছেন, ‘A man of genius with a taste for literature and who is scientist as well’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩৭ সালে বিজ্ঞান বিষয়ক বই ‘বিশ্ব পরিচয়’ লেখেন এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে এই বইটি তিনি উৎসর্গ করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে সত্যেন বোস বলেন, ‘নোবেল পুরস্কার লাভ করলেও আমি এতটা কৃতার্থ বোধ করতাম না।’ নোবেল পুরস্কার না পাওয়র প্রসঙ্গে সত্যেন্দ্রনাথ নিজে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ‘আমার প্রাপ্য সমস্ত স্বীকৃতি আমি পেয়েছি। বিজ্ঞানে আবিষ্কারটাই আসল কথা। কে করলেন তাতে কী যায় আসে?’ আসলে বিজ্ঞানের মহাকাশে চিরস্থায়ী এক নক্ষত্রের নাম সত্যেন্দ্রনাথ বসু।

জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কাজের মধ্যে অতিবাহিত করেছেন প্রফেসর সত্যেন্দ্রনাথ বসু। মৃত্যুর আগের দিনও তিনি প্রাইম নাম্বার নিয়ে গবেষণা করেছেনত্যেন বসু ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মৃত্যু বরণ করেন। জগতের অমোঘ নিয়তির কবলে তার নশ্বর দেহ হয়তো এ পৃথিবী ছেড়ে গেলো কিন্তু তিনি আজীবন বেঁচ রইবেন সারা বিশ্ব তথা বাংলা ভাষাভাষী মানুষের হৃদয়ে। এ পৃথিবী যতোদিন থাকবে ততোদিন সত্যেন বসু তার কীর্তি ও কর্মের মধ্য দিয়ে বেঁচে রইবেন আমাদের মাঝে। যদিও সত্যেন বসুকে নোবেল পুরষ্কার না দেয়াটা নোবেল কমিটির অনেক সদস্যের কাছেও এখনো বিস্ময় এবং হতাশার কারণ। আর হবে নাই বা কেন? সত্যেন বসুর আবিষ্কারের উপর গবেষণা করে পরবর্তীতে কমপক্ষে তিনজন পদার্থবিজ্ঞানী নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন।

বিজ্ঞানের ইতিহাসে যার গবেষণা অমর হয়ে থাকবে তিনি হলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতবর্ষের জাগতিক উন্নতি সাধনে বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান অনস্বীকার্য।অবশ্য এটা সত্য যে দশক বা শতাব্দীর বিচারে কোন বিজ্ঞানী নোবেল পুরষ্কার পেলেন কি পেলেন না তা বড় কথা নয়, বড় কথা হলো বিজ্ঞানের ইতিহাসে তাঁর নাম অক্ষয় হবে কি না। তাঁর অবদান সর্বদাই আলোচিত, পঠিত এবং ব্যবহৃত হবে কি না। সত্যেন বসু আলোচিত হবেন, সম্মনিত হবেন ততদিন যতদিন বিজ্ঞানের চর্চা থাকবে। তিনি চিরঞ্জীব তাঁর সৃষ্ট সংখ্যায়ন তত্ত্বে, তাঁর নামে নামকৃত বোসন কণাসমূহে, বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যানে, প্রাইম নাম্বার থিওরিতে, পদার্থের পঞ্চম অবস্থা নামে পরিচিত বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবনে, গণিতে, সাহিত্যে এবং সঙ্গীতে। বাঙ্গালীর আজ সত্যিই গর্বে বুক উচু করে বলা বলা উচিত হ্যাঁ আমি বাঙ্গালী আমি গর্বিত আমি বাঙ্গালী। জন্মদিবসে এই বাঙালি বিজ্ঞান তাপস, নিবেদিতপ্রাণ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর প্রতি রইল বৈজ্ঞানিক শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভালোবাসা।

– শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক-হরিহর পাড়া- মুর্শিদাবাদ

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD