সুদানের উনামিড শান্তিরক্ষা মিশনে একই দিনে দুই প্রধানের কাছ থেকে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ দুটি সার্টিফিকেট পেয়ে রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। তিনি আজ সুদানিজ সময় সকাল ১০ টায় উনামিড মিশনের পুলিশ প্রধান ডঃ সুলতান আজম তিমুরির কাছ থেকে সফল্ভাবে কুটুম টিম সাইট ও এল ফাশের লিজিস্টিক বেজ অপারেশনাল কার্যক্রম সমাপ্ত করায় “স্পেশাল ড্র-ডাউন এওয়ার্ড” প্রাপ্ত হন। ২০১৯ সালে ব্যানএফপিইউ কমান্ডারের নের্তৃত্বে ২৯ জন নারী সদস্যসহ ১৪০ জন উনামিড মিশনের দারফুর প্রদেশের নিয়ালা টিম সাইটে মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকে। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে নিয়ালা টিম সাইট সফলভাবে সুদান স্থানীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করে মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে এল ফাশের লিজিস্টিক বেজে নিয়োজিত হয়। এল ফাশেরে চৌকষতার সাথে ডিউটি পালনের পাশা-পাশি কমান্ডারের নানামুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজগুলো বেশ প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ পরিচিতি বাড়ে। কমান্ডারের প্রচেষ্টায় এল ফাশের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতার পরিচিতি করার লক্ষ্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ করা সহ সুদান পুলিশকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান, সংশোধন কারাগারে জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন আয়মূলক প্রশিক্ষন প্রদান বেশ সাড়া ফেলে। তার এই কাজের দরুন ইতোমধ্যে উনামিড পুলিশ কমিশনার কর্তৃক এর আগে ৬ বার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারের স্বীকৃতি লাভ করেন। ২০২০ সালের অগাস্টে কুটুম টিম সাইটে বেসামরিক লোকদের সুরক্ষা দিতে মাত্র আট ঘন্টার মধ্যে সমস্ত ফোর্স ও লজিস্টিক মালামাল নিয়ে ফাতাবর্নো ও কাসাব আইডিপি ক্যাম্প নিরাপত্তায় দীর্ঘ ৪ মাস নিয়োজিত থাকে। সফলতার সাথে সেখানকার ক্যাম্প ও টিম সাইটে শান্তি রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করে এল ফাশেরে পুনরায় মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত হয় এবং অবশেষে এই বছরের ১৩ ও ১৫ মার্চ এল ফাশের ড্র-ডাউন প্লান কার্যকরে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করায় এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দুপুর ২ টায় উনামিড মিশনের বোর্ড অফ ইনকোয়েরির (BOI) প্রধান মোহাম্মদ জিয়া খান কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম কে “সার্টিফিকেট অফ কমেনডেশন” প্রদান করেন, যা উনার কাছ থেকে ২য় বার এওয়ার্ড প্রাপ্তি। BOI প্রধান ব্যানএফপিইউ কমান্ডারের মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নের পাশা-পাশি মিশন ইতিহাসের নতুন নতুন ব্যতিক্রমধর্মী উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই এওয়ার্ড প্রদান করেন। উল্লেখযোগ্য কাজ গুলো হল কোভিড নিয়ন্ত্রনে প্রচুর মাস্ক, পিপিই, হেন্ড স্যানিটাইজার বিতরণ ও স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, লজিস্টিক বেজে ক্যাম্পেইন করা, হাসপাতালে সরঞ্জাম বিতরণ সহ ক্যাম্পে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন।
কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন এই মিশনে আমার ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশকে পরিচিতি করতেই আমি নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করি। জাতির পিতার বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয় আর তাই তা আন্তর্জাতিক মহলে তা তুলে ধরতেই মুজিব বর্ষে নানা ধরনের ডোনেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করি, যা সুদান ও মিশন এরিয়ার সব দেশের কাছে প্রশংসিত হয়।
Leave a Reply