মোঃ মহসিন মিয়া
স্টাফ রিপোর্টার
আমার যৌবনের প্রথম প্রেম, প্রেরণার উচ্ছাস, গৌরবের সংগঠনের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই, ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমানের সব নেতাকর্মীদের। শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি ৭৫’-এ ঘাতকদের হাতে নিহত বঙ্গমাতা সহ সকল শহীদদের।
শ্রদ্ধা জানাই ছাত্রলীগের সাবেক প্রয়াত নেতাকর্মীকে।
বাংলা, বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এদিন জন্ম নেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় উপ-মহাদেশের বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩ বছরের ইতিহাস – জাতির মুক্তির স্বপ্ন, সাধনা এবং সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস।
একারণে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে । ’৫২’র ভাষা আন্দোলনে, ’৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮’র আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ’৬২’র শিক্ষা আন্দোলনে ছাত্রলীগ গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। ’৬৬’র ৬-দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে। ৬-দফাকে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। এছাড়াও ’৬৮-তে শিক্ষা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুথানসহ ’৭০-এর নির্বাচন ও ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগ গৌরবউজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে।
তারুণ্যের উচ্ছল প্রাণ বন্যায় ভরপুর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা দেশের ইতিহাসকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন,
লড়াই করেছেন প্রতিটি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে। ঠিক এই কারনেই বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাস।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন ইতিহাসের সেরা সাহসী সন্তানেরাই ছাত্রলীগ করে। তিনি বলেছিলেন, সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আর ছাত্রলীগ হচ্ছে সোনার মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান।
ছাত্রলীগ না করলে আমি আজকের অবস্থানে আসতে পারতাম না। আমাকে কেউ চিনত না-জানত না। আমার রাজনীতির জন্ম হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে। ছাত্রলীগ আমার শৈশবের ভালোবাসা, কৈশরের উচ্ছ্বাস এবং প্রথম যৌবনের প্রেম। ছাত্রলীগ আমার অহংকার, আমার গৌরব, গর্ব এবং অলংকার। আমার রাজনীতির ঐতিহ্য, ছাত্রলীগ আমার অস্তিত্বে মিছে আছে। আজকে অতীতের কথা মনে পড়লেই মন আনন্দের শিহরণ জাগে যে, স্কুল জীবনে এই সংগঠনের প্রেমে পড়েছিলাম।
শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি, ছাত্রলীগের মূলনীতি ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নেতা মোদের শেখ মুজিব ।
সন্ত্রাস নয় শিক্ষা, শেখ হাসিনার দীক্ষা ।
শেখ হাসিনার জন্য, বাংলাদেশ ধন্য ।
যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা ।
সব অন্যায়ের প্রতিকার, ছাত্রলীগের অঙ্গিকার ।
দিন বদলের শপথ নিন , ছাত্রলীগে যোগ দিন ।
দিন বদলের বইছে হাওয়া, শিক্ষা আমার প্রথম চাওয়া ।
চাইলে শিক্ষার উন্নয়ন, শেখ হাসিনার প্রয়োজন ।
ছাত্রলীগ আসছে, রাজপথ কাঁপছে ।
ছাত্রলীগ দিচ্ছে ডাঁক, জঙ্গি সন্ত্রাসবাদ নিপাত যাক
এসো নবীন দলে দলে, ছাত্রলীগের পতাকা তলে ।
এসো নবীন ভয় নাই, ছাত্রলীগে সন্ত্রাস নাই ।
ছাত্রলীগের জন্ম, প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ।
বই, খাতা, কলম নিন ছাত্রলীগে যোগ দিন ।
স্লোগান দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেছিলাম।
এরপর ১৯৯৮ সালে ইদিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ২০০৩ সালে সভাপতি। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ -২০২০ সালে গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলাম।
ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হিসেবে বর্তমান নেতাদের আহ্বান জানাই, ছাত্রলীগের কাজের দ্বারা যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন না হয়। ছাত্রলীগকে সবাই ভালোবাসবে। সবাই পছন্দ করবে। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলবে ছাত্রলীগ। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকবিরোধী কার্যক্রমে বেশি সক্রিয় হবে ছাত্রলীগ। বিপদে আপদে ছাত্রদের পাশে দাঁড়াবে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের প্রতি মানুষের ভালোবাসা-শ্রদ্ধা ও আস্থা থাকবে। সে কাজটির দায়িত্বভার বর্তমান ছাত্রলীগকেই নিতে হবে। কারণ ইতিহাস, ঐতিহ্য, গৌরব, অহংকার, স্বর্ণালী অতীতের ধারক বাহক হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ। এবারের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল ও স্বার্থক হোক-এই কামনা করছি-জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু।
Leave a Reply