আবুল খায়ের স্বপন।।
কসবায় দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থী এ বছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ নুসরাত জাহানের পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন উপজেলা প্রশাসন। আজ সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষনা দিয়েছেন এবং ওই শিক্ষার্থীকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির টাকা পরিশোধ করেছেন।
নুসরাত জাহান কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের গোলাসার গ্রামের প্রয়াত স্কুল শিক্ষক দেলোয়ার হোসেনের কন্যা। নুসরাত ২০১৮ সালে খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের থেকে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ গোল্ডেন-৫ এবং ২০২০ সালে কুমিল্লা ভিক্টরিয়া কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ গোল্ডেন- ৫ পেয়েছে। এ বছর মেডিকেলের ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেধাতালিকায় ২০৪ তম হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছেন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারনে পড়াশুনা অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই কৃতি শিক্ষার্থী ও তাঁর মাকে ডেকে এনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছেন।
শিক্ষার্থীর মা মানসুরা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী দেলোয়ার হোসেন খাড়েরা মোহাম্মদীয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০১৩ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি মারা গেছেন। স্বামী মারা যাওয়ায় চরম আর্থিক সংকটে পরলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গণ শিক্ষায় পাঠদান এবং টিউশনি করে এক ছেলে ও দুই মেয়ের পড়াশুনা চালিয়েছেন। বর্তমানে উচ্চ শিক্ষায় আরো বেশী টাকার প্রয়োজন। উপজেলা প্রশাসন সহযোগীতা করায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী নুসরাত জাহানের পড়াশুনার দায়িত্ব উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তার ভর্তির টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা, কসবা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাফর আহাম্মদ, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, খাড়েরা মোহাম্মদীয় উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. তারেক মাহমুদ, প্রথম আলো প্রতিনিধি মোঃ সোহরাব হোসেন কৃতি শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও তাঁর মা মানসুরা বেগম প্রমুখ।