আবুল খায়ের স্বপন।।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন. আখাউড়া-লাকসামরেলপথের সীমান্তবর্তী কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা এবং সালদানদী রেলসেতুনির্মাণ কাজ বার বার বন্ধ হলেও আশা করছি আর বন্ধ হবে না। নির্মাণকাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে। শনিবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টায়কসবা রেলওয়ে স্টেশন এলাকা নিমার্ণ কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এই সবকথা বলেন। সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের ভেতর কাজ হচ্ছে, এমন অজুহাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর বাধায় প্রায় আড়াই বছর বন্ধথাকার পর অবশেষে গত ১২ মার্চ নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু হওয়ার সাতদিনের মাথায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কসবা রেল স্টেশন এলাকাপরিদর্শন করেন।মাসুদ বিন মোমেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যা গুলিসমাধান করে রেলওয়ে স্টেশন ও সালদা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করাহয়েছে। গত সাত দিন যাবত পুরোদমে কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেবাংলাদেশের জন্য যেমন ভাল হবে, তেমনি ভারতেরও। তিনি আরো বলেন, পাশা-পাশি বন্ধু রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের সাথে আমাদের যে যোগাযোগ ওসুযোগ সুবিধা রয়েছে এর ফলে তা আরো গুরুপূর্ণ ভূমিকা পালনকরবে। দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ থাকা কসবা সীমান্ত হাট চালুর বিষয়েসাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিনমোমেন বলেন, বর্ডার হাটগুলো হলো ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সাধারণমানুষের সম্পৃতির মেলবন্ধন। এ ব্যাপারে ভারতীয় হাইকমিশনারের সাথেআলাপ আলোচনা করে কসবাসহ সবকটি সীমান্ত হাট শীঘ্রই খুলে দেওয়াহবে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল অবমিশন আসাদ আলম সিয়াম, পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মহাপরিচালক (সাউথএশিয়া) রকিবুল হক, টেক্স কমিশনার মাসুদ কামাল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম, জুবায়েদ হোসেন, বিজিবির কুমিল্লা সেক্টরকমান্ডার কর্ণেল মো. আবুল কালাম শামসুদ্দিন রানা, ৬০ বিজিবির অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, প্রকল্পপরিচালক মো.সুবক্তগীন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খানসহ প্রশাসন ও বিজিবি’রউর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।উল্লেখ্য ৭২ কি.মি দীর্ঘ আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্প গত ২০১৬সালের ১ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হলেও কসবা ও সালদা স্টেশনের অবস্থান। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে হওয়ায় বিএসএফ এর বাধায় গত ২০২০ সালের ৯সেপ্টেম্বর এপ্রকল্পের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পযার্য়ের কূটনৈতিক তৎপরতা এবং বডার্র গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃক বিএসএফ এরসাথে নিয়মিত কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ করে গত ২০২২সালে জুলাই মাসে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে বিষয়টি জোরালোভাবে উত্থাপন করা হয়।পরবতর্ীতে গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতদু’দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে প্রকল্পটি চালুর বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনাহয়। এরই ধারাবাহিতায় চলতি বছরের ১ মার্চ বিজিবি’র মহাপরিচালকমেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বিএএম, এনডিসি, পিএসসি সরেজমিনে আখাউড়া-লাকসাম রেলপথের সীমান্তবর্তী কসবা রেলস্টেশনএলাকা পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর শুরু হয় আখাউড়া-লাকসাম রেলওয়ে প্রকল্পের কাজ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কাজ চলছে এমন অজুহাতে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে দুই দেশের উচ্চপর্যায়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিজিবি-বিএসএফের আলোচনার মাধ্যমে ফের গত ১২ মার্চ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়।
Leave a Reply