বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে আইন মন্ত্রী আনিসুল হক বে-সরকারি ভাবে নির্বাচিত কসবায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ আহত-৪ কসবায় এলজিইডি’র শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগরতলায় স্রোত আয়োজিত লোকসংস্কৃতি উৎসব কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি’র উপর হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সভা কসবায় চকচন্দ্রপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ফলাফল ঘোষণা, পুরস্কার বিতরণ ও ছবক প্রদান শ্রী অরবিন্দ কলেজের প্রথম নবীনবরণ অনুষ্ঠান আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, আকাশে থাকবে চাঁদ বিএনপি-জামাত বিদেশীদের সাথে আঁতাত করেছে-কসবায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ১৩ দিনের জন্য ভোটের মাঠে নামছে সশস্ত্র বাহিনী
কিশোরগঞ্জে দুই শিক্ষকের জাল সনদ, প্রধান শিক্ষককে মামলার নির্দেশ

কিশোরগঞ্জে দুই শিক্ষকের জাল সনদ, প্রধান শিক্ষককে মামলার নির্দেশ

খাদেমুল মোরসালিন শাকীর নীলফামারী প্রতিনিধি \

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সনদ জালিয়াতি করে ৭ বছর ধরে চাকুরি করছেন দুই শিক্ষক। অন্যের সনদে নিজের নাম ব্যবহার করে এমপিওভুক্ত হয়ে সরকারি বেতন ভাতাও উত্তোলন করেছেন।

গত রবিবার তাদের নিবন্ধন সনদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পাওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সনদ জালিয়াতি করে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ নেয়া দুই শিক্ষক হলেন লতিফুজ্জামান ও মনিকা রানী রায়। এরা দু’জনে ওই বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই দুই শিক্ষকের নিবন্ধন সনদ নিরীক্ষনের জন্য বে-সরকারী শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তে পাঠান। বে-সরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের নিবন্ধন সনদ যাচাই করে বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েব সাইটে ফলাফল দেন। সনদধারীদ্বয় জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন বলে দালিলিকভাবে প্রমান হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানকে নির্দেশ দেন। ভুয়া নিবন্ধন সনদধারী শিক্ষক লতিফুজ্জামান ৯জুন ২০১২ সালে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। জুলাই ২০১৩ সালে এমপিওভুক্ত হন। তার ইনডেক্স নং ১০৭৭০৫০। সে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের খামার গাড়াগ্রাম আহেলার স্ট্যান্ডের মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। তিনি প্রকৃত সনদধারী ইসলাম উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলামের সনদ হুবহু জাল করেছেন। শুধু নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করে হুবহু অবিকল সনদ তৈরী করে নিয়োগ নেন। ৫ম ব্যাচের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রকৃত সনদধারীর রোল নং ৩০৪১০৯৫৮৯০০১৮০১। এদিকে অপর ভুয়া নিবন্ধনধারী শিক্ষিকা মনিকা রানী রায় ১২ এপ্রিল ২০১২ সালে ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। মে ২০১৩ সালে এমপিওভুক্ত হন। তার ইনডেক্স নং ১০৭৫০৫৮। সে উপজেলার বাজেডুমরিয়া গ্রামের চন্দনের স্ত্রী বলে জানা যায়। তিনি প্রকৃত সনদধারী আব্দুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমানের নিবন্ধন সনদপত্র হুবহু জাল করেছেন। শুধু নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করে হুবহু অবিকল সনদ তৈরী করে ওই বিদ্যায়ে নিয়োগ নেন। ৫ম ব্যাচের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রকৃত সনদধারীর রোল নং ৩০৪১৭১০৪৯০০০১৬৩১। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অন্যের সনদ জাল করে নিয়োগ নেয়া ওই দুই শিক্ষকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। এব্যাপারে মাগুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিধি অনুযায়ী জাল সনদধারী ওই দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD