মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম :
এখন কবি আল মাহমুদের সময় দৈনিক ঐশী বাংলা’র জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন ১৭ জানুয়ারি-‘২৬ ঢাকার বিশ্ব সাহিত্যকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিদিতা ইসলাম শ্রেয়া পুরস্কৃত কন্ঠের মুগ্ধতায় ও উপস্থাপনার নান্দনিকতায় আলোচিত এক নাম মাসুদ রানা বিশ্ববাঙালি সংসদ বাংলাদেশএর অভিষেক অনুষ্ঠিত বিশ্ববাঙালি সংসদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ২৭ সেপ্টেম্বর কসবায় চকচন্দ্রপুর ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজুল কোরআন বিভাগের ৪ ছাত্রের শেষ ছবক প্রদান শিল্প সাহিত্য সংযোগের উদ্যোগে “বিজ্ঞান যুগের সাহিত্যচর্চা” বিষয়ক আলোচনা ও কবিতা পাঠ ন্যাশনাল ইনফ্লুয়েন্স এওয়ার্ডে ভূষিত বিজ্ঞান কবি হাসনাইন সাজ্জাদী লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন আর নেই
ক্ষমা একটি মহৎ গুণ,আল্লাহ ক্ষমাশীল, আমরা ক্ষমা প্রার্থী। ক্ষমা লাভের উপায়

ক্ষমা একটি মহৎ গুণ,আল্লাহ ক্ষমাশীল, আমরা ক্ষমা প্রার্থী। ক্ষমা লাভের উপায়

মোঃ আবুল হোসেন ভুঞা।।

পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসে আল্লাহর ক্ষমা লাভ করার অনেক উপায় বর্ণিত হয়েেছ। তার মধ্যে ঈমান ও আমলে ছালেহ মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ অন্যতম।
যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে ও নেক আমল করবে, আল্লাহ তাদের ক্ষমার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন,
وَعَدَ اللهُ الَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُمْ مَغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيْمًا
‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের’ (ফাতহ ৪৮/২৯; মায়েদা ৫/৯)।

আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
فَالَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ ورزق كريم ‘অতএব যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা (অর্থাৎ জান্নাত)’ (হজ্জ ২২/৫০)।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَالَّذِيْنَ آمَنُوْا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَّأَجْرٌ كَبِيْرٌ ‘আর যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার’ (ফাতির ৩৫/৭)।

এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত ও শ্রবণের মাধ্যমে ঈমান বৃদ্ধি, আল্লাহর উপরে তাওয়াক্কুল ও আল্লাহর রাস্তায় দান প্রভৃতি নেক আমলের মাধ্যমে ক্ষমা লাভ করা যায়। আল্লাহ বলেন,

إِنَّمَا الْمُؤْمِنُوْنَ الَّذِيْنَ إِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوْبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيْمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُوْنَ، الَّذِيْنَ يُقِيْمُوْنَ الصَّلاَةَ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ، أُولَئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُوْنَ حَقًّا لَهُمْ دَرَجَاتٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيْمٌ-

‘নিশ্চয়ই মুমিন তারাই, যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তরসমূহ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে। যারা ছালাত কায়েম করে এবং তাদেরকে আমরা যে জীবিকা দান করেছি, তা থেকে খরচ করে, এরাই হ’ল সত্যিকারের মুমিন। এদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে উচ্চ মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মানজনক রূযী’ (আনফাল ৮/২-৪)।

তিনি আরো বলেন,
إِنْ تُقْرِضُوا اللهَ قَرْضًا حَسَنا يُضَاعِفْهُ لَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ وَاللهُ شَكُوْرٌ حَلِيْم

ٌ ‘যদি তোমরা আল্লাহকে উত্তম ঋণ দান কর তিনি তোমাদের জন্য উহা বহু গুণ বৃদ্ধি করবেন এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ গুণগ্রাহী ধৈর্যশীল’ (তাগাবুন ৬৪/১৭)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর বাণী দ্বারা বুঝা যায় যে, সবচেয়ে ভাল মানুষ ঐ ব্যক্তি যে অপরাধ করার পর আল্লাহর নিকটে ক্ষমা চায়। ক্ষমা প্রার্থনা করা সবচেয়ে বড় ইবাদত। এতে আল্লাহ যত বেশী খুশী হন, অন্য কোন ইবাদতে তিনি তত বেশী খুশী হন না। এজন্য নবী করীম (ছাঃ) দিনে প্রায় সত্তর বারেরও বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। এমর্মে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.

‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা; সম্ভবতঃ তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলোকে মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। সেই দিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর মুমিন বান্দাদেরকে অপদসত্ম করবেন না। তাদের জ্যোতি তাদের সন্মুখে ও ডান পার্শ্বে ধাবিত হবে, তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জ্যোতিকে পূর্ণতা দান করুন। আর আমাদের ক্ষমা করুন। আপনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান (তাহরীম ৮)।

فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَاللهُ يَعْلَمُ مُتَقَلَّبَكُمْ وَمَثْوَاكُمْ.

‘সুতরাং তুমি জান যে, আল্লাহ ব্যতীত (সত্য) কোন মা‘বূদ নেই, ক্ষমা প্রার্থনা কর তোমার জন্য এবং মুমিন নর-নারীদের পাপের জন্য। আল্লাহ তোমাদের গতিবিধি এবং অবস্থান সম্বন্ধে অবগত আছেন’ (মুহাম্মাদ ১৯)।

قَالَا رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنْفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ.

তখন তারা বলল, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি অন্যায় করেছি, আপানি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের দয়া না করেন তবে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্ততদের অন্ততর্ভুক্ত হব (আ‘রাফ ২৩)।

قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ.

তিনি বললেন, হে আমার প্রতিপালক! আমি তো আমার নিজের প্রতি যুলুম করেছি। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন! অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন। তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (কাছাছ ১৬)।

وَقُلْ رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ.

বল, হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করুন ও দয়া করুন, দয়ালুদের মধ্যে আপনিই সবচেয়ে বেশী দয়ালু (মুমিনূন ১১৮)।

এমর্মে হাদীছে এসেছে,

عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم كُلُّ بَنِيْ آدَمَ خَطَّاءٌ وَخَيْرُ اَلْخَطَّائِيْنَ اَلتَّوَّابُوْنَ-

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তানই অপরাধী। উত্তম অপরাধী তারাই যারা তওবা করে, ক্ষমা চায়’ (আবুদাউদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৩৪০; বাংলা মিশকাত হা/২২৩৭)। এ হাদীছ দ্বারা বুঝা গেল যে, সবচেয়ে উত্তম ঐ ব্যক্তি যে অপরাধ করার পর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চায়।

প্রফেসর কসবা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
কসবা, বি বাড়িয়া

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




raytahost-demo
© All rights reserved © 2019
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD