বাকের সরকার বাবর।।
অপরুপ রুপের পাহাড়ের রানী খ্যাত বান্দরবানে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবা দিতে গঠিত হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান রিজিয়ন। আর সেই ইউনিটে সম্প্রতি যোগদান করেছে পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হালিম। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে রয়েছে অসংখ্য পর্যটনকেন্দ্র। প্রতিদিনই এসব পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় করেন অসংখ্য পর্যটক। পর্যটকদের ভিড় সামলাতে আর তাদের নিরাপত্তা দিতে প্রতিদিনই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে দায়িত্ব পালন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। পর্যটকদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পর্যটকদের বিভিন্ন দিক নিদের্শনা ও সহযোগিতার হাত বাড়ান ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা। গত ২৬ জুলাই পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবানে যোগদান করেছেন। আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এসপি হালিম। এই সময় বান্দবানে ট্যুরিস্ট পুলিশকে থাকার ও অফিসের জায়গা দেয়াই মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসপি ট্যুরিস্ট পুলিশ ধন্যবাস প্রদান করেন। বান্দরবান রিজিয়নের পুলিশ সুপার বলেন করোনার কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে বান্দরবানের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ। কিন্তু তারপরও দৈনিক দায়িত্ব বন্ধ নেই তাদের। জেলার নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের দায়িত্ব অব্যাহত রেখেছে। ২০১৫ সাল থেকে বান্দরবানের পর্যটন খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে ট্যুরিস্ট পুলিশ বান্দরবান জোনের কার্যক্রম শুরু হয় এবং সেই থেকে বর্তমানে ২০ জনের একটি চৌকস দল জেলার বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিনই তাদের টহল কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এসপি হালিম আগত ট্যুরিস্ট দের মাঝে জাতির পিতাকে বার বার মনে রাখার জন্য অফিসের সম্মুখ ভাগে “বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য” নির্মানে সহায়তা কামনা করেন। মন্ত্রী সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।পরে রিজিয়নের পুলিশ সুপার এর পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য রেপ্লিকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া হয়। সাথে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিমের জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে মুজিব বর্ষ পালনের উপর রচিত একটি পুস্তিকা উপহার হিসাবে প্রদান করা হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম ২০১৯-২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদান দারফুরে বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার হিসাবে অত্যন্ত সম্মান ও কৃতিত্ব এর সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৩৫টি এওয়ার্ড সার্টিফিকেট পেয়ে রেকর্ড গড়েছেন। তিনি সর্বপ্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এলাকায় বাংলাদেশের পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে ক্যাম্প, হল, কর্নার নির্মানসহ বাংলাদেশ কে বিশ্বের দরবারে অনন্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার নানা কর্মসূচি পালন করেছিলেন। তার এই কর্মসূচি গুলো নানা আন্তর্জাতিক ও দেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।
Leave a Reply